সুন্দরবন রক্ষায় ভারতের সঙ্গে যৌথ কমিশন গঠন জরুরি: পরিকল্পনামন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের উন্নয়নে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেছেন, 'সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকাকে ঘিরে পর্যটন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে সুন্দরবন সুরক্ষায় যৌথ নদী কমিশনের মতো ভারতের সঙ্গে যৌথ সুন্দরবন কমিশন গঠন করা জরুরি।'

আজ রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের উন্নয়ন: প্রয়োজন জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ' শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই দেশের অন্যান্য এলাকার মতো উপকূলের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ কারণে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, পানি সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।'

প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে 'হাওরের বাঁধ ফসল রক্ষায়, উপকূলের বাঁধ জীবন রক্ষার'- এই বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উপকূলের উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'গ্রাম হবে শহর—এই কর্মসূচির আওতায় দেশের সকল গ্রামে পাইপ লাইনে সুপেয় পানি সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পুকুর সংস্কারসহ অন্যান্য কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।'

উপকূলের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক হলেও উপকূলের প্রকল্পগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। মন্ত্রী পরিষদ খুলনা-সাতক্ষীরাকে দূর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করলেও প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয় না।'

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা 'ফেইথ ইন একশন' এবং নাগরিক সংগঠন 'সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন'আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র।

সেমিনারে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সম্প্রতি দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল পরিদর্শন করে আসা নাগরিক প্রতিনিধি দলের নেতা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল।  

আলোচনায় অংশ নেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান, একাত্তর টেলিভিশনের উপ-প্রধান বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, ফেইথ ইন অ্যাকশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য, কোস্ট ফাউন্ডেশনের মোস্তফা কামাল আকন্দ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতির সম্পাদক সাকিলা পারভীন, শহীদ আলীম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সানজিদুল হাসান, খুলনার বাসন্তী রানী মণ্ডল প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares 3 new days for nat’l observance

The interim government yesterday declared August 5 as “July Mass Uprising Day” to commemorate the student-led protests that toppled the Sheikh Hasina regime that day last year.

6h ago