ফ্রান্সকে সন্ত্রস্ত করা এক রহস্যময় প্রাণী

ফ্রান্সের গেভাদাউন নামের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা এক সময় বেশ কিছুদিন আতঙ্কের মধ্যে কাটান। অতিকায় এক দানবের আক্রমণের ভয় তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল। দ্য বিস্ট নামের দানবটির প্রধান লক্ষ্য ছিল গ্রামের নারী ও শিশুরা। 
ছবি: বিলিভ ইট অর নট

ফ্রান্সের গেভাদাউন নামের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা এক সময় বেশ কিছুদিন আতঙ্কের মধ্যে কাটান। অতিকায় এক দানবের আক্রমণের ভয় তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল। দ্য বিস্ট নামের দানবটির প্রধান লক্ষ্য ছিল গ্রামের নারী ও শিশুরা। 

রূপকথার গল্পের মতো শোনালেও আদতে রূপকথা নয়। ১৭৬৪ থেকে ১৭৬৭ টানা ৩ বছর নেকড়ের মতো দেখতে দানবটির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় শতাধিক মানুষের। যার প্রথম শিকার ছিলেন জিন বুলেট নামে ১৪ বছর বয়সের এক কিশোরী।   

ছবি: বিলিভ ইট অর নট

ওই গ্রামে প্রায়ই নেকড়ের আক্রমণের ঘটনা ঘটলেও পরপর কয়েকটি ঘটনায় বাসিন্দারা বেশ ভয় পেয়ে যান। রটতে শুরু করে নানা গুজব। অনেকের মতে, দ্য বিস্ট কোনো সাধারণ নেকড়ে নয় বরং সেটি বিড়ালের মতো লেজবিশিষ্ট এবং ষাঁড়ের মতো অতিকায় নেকড়ে কিংবা হায়েনা।

সংবাদপত্রেও বিষয়টি প্রচারিত হলে রাজা লুইয়ের দৃষ্টিগোচর হয়। তারপর তিনি দ্য বিস্টকে হত্যার জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার ঘোষণা করে। এরপর অনেকেই দানবটি হত্যা করার জন্য উদ্যত হন। শোনা যায়, দ্য বিস্টকে গুলি করা হলেও সে নিজেকে রক্ষা করতে পারতো। 

তারপর একে একে অনেক গল্পই রচিত হয় দ্য বিস্টকে হত্যা করা নিয়ে। ১৭৬৭ সালে জিন চ্যাস্টেল নামে এক শিকারী একটি নেকড়েকে হত্যা করলে সেটির পেটে মানুষের দেহ পাওয়া যায়। এরপরেই দ্য বিস্টের গল্পের সমাপ্তি ঘটে। 

রিপলি'স বিলিভ ইট অর নট থেকে অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া।

Comments