ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে পুরোদমে আক্রমণ শুরু রাশিয়ার

দোনেৎস্ক অঞ্চলে রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি স্কুল ভবন পরিদর্শনে ইউক্রেনের এক পুলিশ অফিসার। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে পুরোদমে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। সেভেরোডোনেৎস্ক ও লিসিচানস্ক এই ২ শহরে ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘিরে ফেলতে আক্রমণ শুরু করেছে রুশ সেনারা।

এ হামলা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে মস্কোর সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর ৩ মাসের মাথায় যখন দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের কর্তৃপক্ষ ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেল চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন এ হামলা শুরু হলো।

মেট্রোরেল চালুর সিদ্ধান্তটি গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনের সামরিক সাফল্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল।

আজ মঙ্গলবার রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে মস্কো পূর্বাঞ্চলীয় ২ প্রদেশ দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের দখলের চেষ্টা করছে এবং পূর্ব ফ্রন্টে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে।

ইউক্রেনীয়-অধিকৃত দনবাসের পূর্বদিকে সেভারোস্কি দনেৎস নদীর পূর্ব তীরে সেভেরোডোনেৎস্ক  শহর এবং পশ্চিম তীরে এর টুইন সিটি লিসিচানস্ক এখন মূল যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়ে উঠেছে।

রুশ বাহিনী ইউক্রেন বাহিনীকে ঘিরে ফেলতে ৩ দিক থেকে অগ্রসর হয়েছে।

লুহানস্ক প্রদেশের গভর্নর সেরহি গাইদাই বলেন, 'শত্রুরা লিসিচানস্ক এবং সেভেরোডোনেৎস্ক ঘেরাও করতে আক্রমণ চালাচ্ছে।'

এই ২ শহর ওই অঞ্চলে এখনো ইউক্রেনের দখলে থাকা শেষ ২ শহর।

টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'সেভেরোডোনেৎস্কে সব জায়গায় আগুন জ্বলছে। তারা শহরটিকে ধ্বংস করছে। শহরে প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা আছেন এবং এখন পর্যন্ত ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে।'

দনবাসে রয়টার্সের সাংবাদিকরা আরও পশ্চিমে বাখমুতে পৌঁছেছেন। সোমবার তারা লিসিচানস্কের দিকে হাইওয়েতে তীব্র গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন এবং দেখেছেন।

তারা জানান, ইউক্রেনীয় বাহিনী সাঁজোয়া যান, ট্যাঙ্ক ও রকেট লঞ্চার নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।

আরও পশ্চিমে স্লোভিয়ানস্কে মঙ্গলবার সকালে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। তখনো রাস্তায় ও বাজারে অনেক মানুষ ছিল। শিশুদেরও রাস্তায় দেখা গেছে।

পরে সেখান থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নিতে খালি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বাস দেখা যায়।

সূত্র জানায়, রাশিয়া পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি অবিচ্ছিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণে নিলেও, এখন পর্যন্ত লুহানস্ক ও ডোনেৎস্ক দখল করতে পারেনি।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এক টুইটবার্তায় বলেন, 'দনবাসে রাশিয়ার "নির্মম" আক্রমণের পর দেখা যাচ্ছে ইউক্রেনের এখন আরও পশ্চিমা অস্ত্রের প্রয়োজন, বিশেষ করে একাধিক রকেট লঞ্চার সিস্টেম, দূরপাল্লার আর্টিলারি ও সাঁজোয়া যান প্রয়োজন।'

Comments

The Daily Star  | English
Curfew in Gopalganj after clash

Curfew in Gopalganj after 4 die in clash

The curfew will be in effect until 6:00pm tomorrow

5h ago