‘ইরান পরমাণু বোমা বানাতে সক্ষম’

কামাল খারাজি। ছবি: রেডিও ফ্রি ইউরোপ থেকে নেওয়া

প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন প্রথম ইসরায়েল ও সৌদি আরব সফরে এসে পূর্বসূরিদের মতো সদম্ভে বলেছিলেন 'ইরানকে পরমাণু বোমার অধিকারী হতে দেব না'। গত শনিবার তার ৪ দিনের সফর শেষের পরদিনই যেন 'বোমা ফাটালো' উপসাগরীয় দেশটি।

আজ সোমবার ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর জানিয়েছে, গতকাল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামিনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা কামাল খারাজি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, ইরান 'কারিগরিভাবে' পরমাণু বোমা বানাতে সক্ষম।

তিনি বলেন, 'আমরা ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ করতে পারতাম। এখন সহজেই ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করতে পারি। কারিগরিভাবে ইরান পরমাণু বোমা বানাতে সক্ষম। বোমা বানানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।'

খারাজি আরও বলেন, 'ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র গ্যারান্টি দেয়নি। কোনো চুক্তির সম্ভাবনাও নষ্ট হয়ে গেছে।'

'৯০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা গেলে তা দিয়ে বোমা বানানো সম্ভব' উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, খারাজির এমন মন্তব্যে ধারণা করা হচ্ছে যে পরমাণু বোমার বিষয়ে ইরানের আগ্রহ আছে। যদিও দেশটি সব সময়ই তা অস্বীকার করে আসছে।

২০১৫ সালে বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তিতে তেহরানকে ইউরেনিয়াম ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

২০১৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে বের হয়ে এলে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

ইরানের দাবি, তারা বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে চুক্তিতে ফিরে এলে তেহরান চুক্তি মেনে চলবে।

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বাইডেন প্রশাসন ও তেহরানের মধ্যে প্রায় ১১ মাস পরোক্ষ আলোচনার পর গত মার্চে পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট ভবিষ্যতে সেই চুক্তি ভাঙতে পারবে না—বাইডেনের কাছে ইরান এর গ্যারান্টি চাইলে বাইডেন কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ইসরায়েল ইরানের পরমাণু প্রকল্পে হামলার হুমকি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে খারাজি বলেন, 'প্রতিবেশী কোনো দেশ আমাদের আঘাত করলে আমরাও পাল্টা আঘাত করবো।'

Comments

The Daily Star  | English

At least 10 incidents in 7 years: Why clashes between CU students and locals keep happening

Housing shortage, resentment, and administrative inaction blamed for repeated clashes

1h ago