গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু ১ অক্টোবর

দীর্ঘ বিরতির পর আবারও আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির পাঁচটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এ উৎসব। এবারের উৎসবে শুধু দেশীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো অংশ নেবে।
আজ বুধবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন উৎসবের আহ্বায়ক কমিটি।
আহ্বায়ক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে উপজীব্য করে এবারের গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন। ১ থেকে ১২ অক্টোবর এ উৎসব বাংলাদেশ শিল্পকলার জাতীয় নাট্যশালার মূল হল, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল, জাতীয় সঙ্গীত-নৃত্যকলা-আবৃত্তি মিলনায়তন এবং জাতীয় নাট্যশালার মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
১ অক্টোবর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ১২ দিনব্যাপী 'গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব' এর উদ্বোধন করবেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক সুজেয় শ্যাম।
উদ্বোধনী দিনে সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার প্রযোজনা "পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়"। নাটকটি রচনা করেছেন সৈয়দ শামসুল হক ও নির্দেশনা দিয়েছেন আবদুল্লাহ আল মামুন। পরীক্ষণ থিয়েটার হলে থাকবে আরণ্যক নাট্যদলের প্রযোজনা 'কহে ফেসবুক'। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ।
এছাড়া স্টুডিও থিয়েটার হলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকার প্রযোজনা 'জনকের মৃত্যু নেই' মঞ্চায়িত হবে। এটি রচনা করেছেন আবদুল হালিম আজিজ এবং নির্দেশনা দিয়েছেন স্মরণ সাহা। উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্ব প্রতিদিন ৪টা থেকে ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এবং মঞ্চনাটক প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে। নাটকের অগ্রিম টিকিট কাউন্টারে বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে।
এবারের উৎসবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৩৬টি নাট্যদলের মোট ৩৬টি মঞ্চনাটক প্রদর্শনী হবে।
Comments