৪ মাস পর শনাক্তের হার আবার দুই অংকে

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২ হাজার ৯১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২ হাজার ৯১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪ জনের।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশে। সর্বশেষ গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর করোনা শনাক্তের হার ১০ এর বেশি ছিল।

এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেলেন ২৮ হাজার ১০৭ জন।

আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।

আজ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ২৪ হাজার ৯৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৯১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ২ জন নারী ও ২ জন পুরুষ। তাদের মধ্যে ৩ জন ঢাকার ও ১ জন চট্টগ্রামের বাসিন্দা।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গতকাল ২ হাজার ৪৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৬ লাখ ১ হাজার ৩০৫ জনের করোনা শনাক্ত হলো।

গত বছর ডেল্টা সংক্রমণের পর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় লকডাউনের বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছিল। 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুন-জুলাই মাসে করোনা শনাক্তের হার ছিল ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে। গত ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আগস্ট মাসে গড়ে শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ১৯ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করলে জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে আসে। গত ৮ সেপ্টেম্বর শনাক্তের হার ছিল ১০ এর নিচে। অক্টোবর মাসে শনাক্ত কমে গড়ে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশে পৌঁছায়। 
নভেম্বরের শুরু থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শনাক্ত হার ছিল ১ এর ঘরে। 
এদিকে, গত বছরের ৯ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। গত ১১ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ে ফেরত দুই নারী ক্রিকেটারের শরীরে 'ওমিক্রন' শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনার সংক্রমণ ২২ ডিসেম্বর থেকে বাড়তে শুরু করে। জানুয়ারির প্রথম ৭ দিনেই শনাক্তের হার বেড়ে ৬ শতাংশে পৌঁছায়।
 
আজ ১২ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ ১১ শতাংশে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সরকার ঘোষিত ১১ দফা বিধিনিষেধ কার্যকর হতে চলেছে। 

অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ ডিসেম্বরের শেষ থেকে বাড়তে শুরু করলেও করোনায় মৃত্যু এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

গত বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে গড়ে প্রায় ১০০'র বেশি রোগীর করোনায় মৃত্যু হয়েছে। গত আগস্ট মাস জুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর বেশি ছিল। গত ৫ ও ১০ আগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে করোনা শনাক্তের পাশাপাশি মৃত্যুও কমতে শুরু করে। নম্ভেম্বর ও ডিসেম্বর জুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০ এর নিচে। জানুয়ারির প্রথম ১১ দিনে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৫ এর নিচে রয়েছে।
 

Comments

The Daily Star  | English

Taka to trade more freely by next month

Bangladesh will introduce a crawling peg system by next month to make the exchange rate more flexible and improve the foreign currency reserves, a key prescription from the International Monetary Fund.

2h ago