বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন মেক্সিকান শিক্ষার্থীরা

বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং মহান স্বাধীনতার রূপকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মেক্সিকান শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানান মেক্সিকোর একদল শিক্ষার্থী। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস

বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং মহান স্বাধীনতার রূপকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মেক্সিকান শিক্ষার্থীরা।

১৫ আগস্ট রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে দেশটির খ্যাতনামা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এএনএএইচইউএসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

শিক্ষার্থীদের নিয়ে দূতাবাস ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।

দূতাবাসের হলরুমে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক তথ্যচিত্র 'বঙ্গবন্ধু ইন আওর হার্টস ফরএভার' প্রদর্শন করা হয়।

পরে, রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে সুদীর্ঘ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এবং সার্বভৌম ও স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম অবদানের পাশাপাশি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে তার যুগান্তকারী উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী, দৃঢ় ও আপসহীন নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জন করেছে। একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্বতন্ত্র পরিচয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে দুর্লভ সম্মান বাঙালি পেয়েছে, তার জন্য সমগ্র জাতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ, চির ঋণী।'

আবিদা ইসলাম আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও দর্শনের পথ ধরেই আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। তার কালোত্তীর্ণ রূপকল্প ও দর্শনেরই ফসল বর্তমান বাংলাদেশ।'

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে মেক্সিকান শিক্ষার্থীরা, বঙ্গবন্ধু এবং তার সংগ্রামী জীবন, রূপকল্প, দর্শন ও মতাদর্শ এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলে জানান।

আলোচনার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।

Comments