মালয়েশিয়ায় ২০২৫ সালের মধ্যে ৩ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে

২০২৫ সালের মধ্যে ৩ লাখ উচ্চ-দক্ষ কাজের সুযোগ তৈরি করবে মালয়েশিয়া। ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স, স্বয়ংচালিত রাসায়নিক এবং উন্নত উপকরণের পাশাপাশি জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসা প্রযুক্তির মতো খাতে চাকরির সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রয়টার্স ফাইল ফটো

২০২৫ সালের মধ্যে ৩ লাখ উচ্চ-দক্ষ কাজের সুযোগ তৈরি করবে মালয়েশিয়া। ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স, স্বয়ংচালিত রাসায়নিক এবং উন্নত উপকরণের পাশাপাশি জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসা প্রযুক্তির মতো খাতে চাকরির সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্পের সিনিয়র মন্ত্রী দাতুক সেরি মোহাম্মদ আজমিন আলী বলেছেন, একাডেমি ইন ফ্যাক্টরি (এআইএফ) প্রোগ্রামের মাধ্যমে চলতি বছরেই এ সব খাতে ২০ হাজার কাজের সুযোগ তৈরি করা হবে।

শনিবার ১৩ আগস্ট ইয়ুথ কার্নিভাল এবং এআইএফ অনুষ্ঠানে এ আশা ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, 'বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যাতে মালয়েশিয়াকে বিনিয়োগের গন্তব্যে নিশ্চিত করে সেজন্য অত্যন্ত দক্ষ এবং প্রযুক্তিগত প্রতিভা প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব। এটি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের কর্মী-বাহিনীর দক্ষতা এবং পুর্নদক্ষতা বা উচ্চতর দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। যা ২০৩০ সালের মধ্যে সব সেক্টরে ৩০ শতাংশ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে।'

এআইএফ হলো মালয়েশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি করপোরেশনের (এমপিসি) একটি উদ্যোগ। যাতে শ্রমিকের ঘাটতি মেটানো এবং ভবিষ্যৎ কর্মী-বাহিনী গড়ে তুলতে স্থানীয় যুবকদের মধ্যে উচ্চ-দক্ষতা বিকশিত করা হয়।

আজমিন বলেন, মালয়েশিয়া একটি উৎপাদনশীল উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং শিল্পের উপযুক্ত চাহিদা মেটাতে স্থানীয় কর্মী-বাহিনীকে উচ্চ দক্ষতার সঙ্গে প্রস্তুত করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী প্রতিযোগিতা বাড়াতে দেশকে দক্ষ, উৎপাদনশীল, সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী মানবসম্পদের বিকাশ ঘটাতে এরই মধ্যে গ্রামীণ এলাকা, গ্রাম এবং ওরাং আসলি শিশুসহ যুব গোষ্ঠীর জন্য নতুন উচ্চ-দক্ষ চাকরির সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি করপোরেশন (এমপিসি)   উৎপাদনশীলতা এবং প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিতে এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সংস্থাটির মহাপরিচালক দাতুক আব্দুল লতিফ আবু সেমান, বলেন, যখন দক্ষতা উন্নত হয়, উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি পায় এবং লাভের দিকে পরিচালিত করতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে, এটি ১২তম মালয়েশিয়া পরিকল্পনার অধীনে নির্ধারিত ৪০ শতাংশ শ্রমিকদের ঘাটতে পূরণের লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখবে।

দেশের উৎপাদনশীল কর্মক্ষমতা ২০২১ সালে ১.৮ শতাংশ হারে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে ফিরে এসেছে এবং ২৩ হাজার ১২৯ রিঙ্গিতের মূল্য সংযোজনসহ শ্রমিক প্রতি শ্রম উৎপাদনশীলতা ২.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন এমপিসিরি মহাপরিচালক আবদুল লতিফ।

লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments