অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ৮ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা

উইমেন্স কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে ও বাংলা সংবাদপত্র ‘প্রভাত ফেরী’র সার্বিক সহযোগিতায় অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ৮ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ৮ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে উইমেন্স কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া ও বাংলা সংবাদপত্র ‘প্রভাত ফেরী’। ছবি: সংগৃহীত

উইমেন্স কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে ও বাংলা সংবাদপত্র 'প্রভাত ফেরী'র সার্বিক সহযোগিতায় অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ৮ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

গতকাল শনিবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বীর কণ্ঠযোদ্ধা ও দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসক অরূপ রতন চৌধুরী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হাসানের স্ত্রী শাহান আরা জাকির।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন 'প্রভাত ফেরী'র প্রধান সম্পাদক কাজী শ্রাবন্তী আশরাফী। তিনি বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের ত্যাগ ও অবদান অবিস্মরণীয়। আজকের এই অনুষ্ঠানে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতার প্রকাশ করছি।'

বিশেষ অতিথি অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, 'আজ আপনারা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করে নিজেরাই সম্মানিত হলেন। প্রবাসে এসেও দেশের প্রতি আপনাদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত।'

শাহান আরা জাকির বলেন, 'আমি বিয়ে করেছিলাম এক পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাকে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার কারণেই আমার পরিবার এতে রাজি ছিল না। আমি জানতাম, আমি দেশের একজন গর্বিত মানুষকে বিয়ে করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের প্রতি প্রবাসীদের সম্মান জানানোর এই উদ্যোগ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।'

শাহান আরা জাকির মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে তাদের সংগ্রামের গল্প শুনিয়ে দর্শকদের আবেগাপ্লুত করেন। তিনি জানান, ১৯৭১ সালে ১৭ বছরের কিশোর কাজী জাকির হাসান ছিলেন ৪৫ মুক্তিসেনার অপারেশন গ্রুপের কমান্ডার। হানাদার বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইনে তার ডান পা উড়ে যায়।

অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন ফয়জুন নাহার পলি, ফাহাদ আসমার, হাবিবুর রহমান ও রতন কুন্ডু। সংগীত পরিবেশন করেন নিলুফা ইয়াসমীন, অমিয়া মতিন ও মিঠু স্বপ্ন।

অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যাঞ্জলি একাডেমীর কর্ণধার মৌসুমী সাহা।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সোলায়মান দেওয়ান আশরাফী ও সাবেক কাউন্সিলর শাহে জামান টিটু। সম্মাননা অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা ও পরিচালনা করেন আকিদুল ইসলাম।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments