অস্ট্রেলিয়া থেকে নির্বাসিত হতে পারেন টেনিস তারকা ক্যামিলা জিওরগি

ইতালিয়ান টেনিস তারকা ক্যামিলা জিওরগি। ছবি: সংগৃহীত

নোভাক জোকোভিচকে অস্ট্রেলিয়া থেকে নির্বাসিত করার এক বছর পর এবার এক ইতালীয় টেনিস তারকার বিরুদ্ধে করোনা টিকার ভুয়া সনদ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

ইতালিয়ান টেনিস তারকা ক্যামিলা জিওরগির বিরুদ্ধে গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনসহ ২০২২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খেলায় অংশ নিতে নকল করোনা টিকা সনদ ব্যবহারের অভিযোগের তদন্ত চলছে।

মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলার জন্য তিনি ২০২২ সালে ভুয়া নথি দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইতালীয় এই টেনিস তারকা বর্তমানে অ্যাডিলেডে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি অ্যাডিলেড ইন্টারন্যাশনালে তার যোগ্যতা প্রমাণের ম্যাচ হেরেছেন।

আগামী ১৬ জানুয়ারি মেলবোর্নে শুরু হওয়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে অস্ট্রেলিয়া এসেছেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভুয়া নথি দেওয়ার প্রমাণ হলে ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান বা বাতিল হতে পারে। সেক্ষেত্রে যদি প্রমাণ হয় গত বছর ক্যামিলা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিসা নিয়েছিলেন, তা হলে এ বছরের ভিসা বাতিল হবে তার। 

গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ক্যামিলা ইউএস ওপেনে অংশ নিয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, সেখানেও তিনি টিকার নকল সনদ ব্যবহার করেছিলেন। তখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য বাধ্যতামূলক টিকা নেওয়া প্রয়োজন ছিল।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্যামিলা জিওরগির ব্যক্তিগত চিকিৎসক ড্যানিয়েলা গ্রিলোনকে ইতালীয় পুলিশ শত শত মানুষকে নকল টিকা দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছিল। 

পরে জানা যায়, কোভিডের জন্য ক্যামিলা ব্যক্তিগত চিকিৎসকের কাছ থেকে একটি ভুয়া সনদ নিয়েছিলেন। তাকে কখনো টিকা দেওয়া হয়নি।

ইতালীয় সংবাদপত্র 'লা রিপাব্লিকা' খবরটি প্রথম প্রকাশ করে। এরপরই ইতালীয় পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত শুরু করছে।

সম্প্রতি ডা. গ্রিলোন একটি ইতালীয় সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেছেন যে ৩১ বছর বয়সী টেনিস তারকা ক্যামিলাকে কখনোই টিকা দেওয়া হয়নি।

গ্রিলোন ইতালীয় দৈনিক কোরিয়ারে দেল ভেনেটোকে জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে জিওরগি পারিবারিক চিকিৎসক হিসেবে তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করছেন। 

তিনি বলেন, 'আমি নিশ্চিত করতে পারি যে জিওরজি পরিবারের কেউই টিকা নেননি। আমি আমার কাজের জন্য গভীরভাবে বিরক্ত ও দুঃখিত।'

মহিলা টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউটিএ) এক মুখপাত্র নিউজ করপোরেশনকে জানিয়েছেন, তারা অভিযোগ সম্পর্কে সচেতন এবং ইতালীয় পুলিশের তদন্ত পর্যবেক্ষণ করছেন।

এ প্রসঙ্গে টেনিস অস্ট্রেলিয়ার সিইও ক্রেগ টাইলি বলেন, 'আমি মনে করি এখনো অনেক কিছু উন্মোচন করা বাকি আছে। আমি সত্যিই বিস্তারিত আর কিছু জানি না।'

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance rises 30% in July

Migrants sent home $2.47 billion in the first month of the current fiscal year

5h ago