কনটেইনারে মালয়েশিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি সেই কিশোর দেশে ফিরছে

খালি একটি কনটেইনার থেকে ফাহিমকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মালয়েশিয়ার একটি এনজিওর সেইফ হোমে তাকে রাখা হয়।
এমভি ইন্টিগ্রা জাহাজের একটি খালি কনটেইনার থেকে কিশোর ফাহিমকে (ইনসেটে) উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

কনটেইনারে করে মালয়েশিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি কিশোর রাতুল ইসলাম ফাহিম আগামীকাল মঙ্গলবার দেশে আসবে। সব প্রক্রিয়া শেষে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে তাকে দেশে পাঠানো  হচ্ছে।

হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, কিশোর ফাহিমকে নিয়ে মিশনের কল্যাণ সহকারী মকছেদ আলী আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় মালয়েশিয়ান এরারলাইনসের এমএইচ ১৯৬ ফ্লাইটে দেশে পৌঁছাবেন। তিনি কিশোর ফাহিমকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেবেন।

এর আগে, ৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর সেইফ হোমে ফাহিমের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন প্রথম সচিব (শ্রম) এএসএম জাহিদুর রহমান।

গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্য ছেড়ে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী 'এমভি ইন্টিগ্রা' জাহাজটি ১৭ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দরে পৌঁছায়। ওই দিন রাতে খালি একটি কনটেইনার থেকে ফাহিমকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মালয়েশিয়ার একটি এনজিওর সেইফ হোমে তাকে রাখা হয়।

সেই সময় ওই কিশোরের কনটেইনার থেকে বেরিয়ে আসার কয়েকটি ভিডিও মালয়েশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয় সরকার।

এরপর হাইকমিশনের শ্রম শাখা থেকে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ফাহিমের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

রাতুল ইসলাম ফাহিম ২ মাস আগে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বাড়ি থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম থেকে পৌঁছে গিয়েছিল মালয়েশিয়ায়।

মো. রাতুল ইসলাম ফাহিমের বয়স ১৫ বছর। সে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া গ্রামের মো. ওমর ফারুক ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। পেশায় দিনমজুর ফারুকের ৩ ছেলের মধ্যে ফাহিম সবার বড়। পরিবার জানিয়েছে, ফাহিম বিশেষচাহিদাসম্পন্ন।

বাড়ি থেকে হারিয়ে যাওয়ার পর কীভাবে ফাহিম চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে করে মালয়েশিয়ার বন্দরে পৌঁছেছে, সেই বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা পরিষ্কারভাবে কিছু বলতে পারেননি।

লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments