চট্টগ্রাম থেকে কনটেইনারে মালয়েশিয়া গেল কিশোর, জীবিত উদ্ধার

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া একটি জাহাজের খালি কনটেইনার থেকে এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এম ভি ইন্টিগ্রা জাহাজ
এম ভি ইন্টিগ্রা জাহাজে থাকা একটি খালি কনটেইনার থেকে এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া একটি জাহাজের খালি কনটেইনার থেকে এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

কেলাং বন্দরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাহাজের একটি খালি কনটেইনারের ভেতর থেকে আনুমানিক ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরকে উদ্ধার করে।

মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী এমভি ইন্টিগ্রা জাহাজটি গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা হয় এবং গত সোমবার সকালে মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং পৌঁছায়।

কিশোরটি বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। সে লুকিয়ে কনটেইনারে ঢুকে পড়ে এবং কেলাং পৌঁছায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই কিশোর বর্তমানে কেলাংয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ বুধবার এমভি ইন্টিগ্রা জাহাজের বাংলাদেশি এজেন্ট কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্স (বিডি) লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম ফয়সাল দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের এমভি ইন্টিগ্রা জাহাজটি ১৩৩৭ টিইইউএস কনটেইনার বোঝাই করে গত ১২ জানুয়ারি রওনা হয়। ১৬ জানুয়ারি কেলাং বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছানোর পর জাহাজের নাবিকরা কনটেইনারের ভেতর থেকে আওয়াজ শুনতে পান।

কিন্তু কোন কনটেইনার থেকে আওয়াজ আসছিল, তা নিশ্চিত হতে পারেননি তারা। পরে বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট এবং মেরিন পুলিশকে জানায়।

তাদের সহযোগিতায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাহাজটিকে জরুরিভিত্তিতে বন্দরের মূল জেটিতে নেওয়া হয়। সেখানে মেরিন পুলিশের একটি দল জাহাজের ৬-৭টি কনটেইনার নামানোর পর আওয়াজ আসা কনটেইনারটি চিহ্নিত করে এবং ওই কিশোরকে উদ্ধার করে বলে জানান এস এম ফয়সাল।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জাহাজের ক্যাপ্টেন গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের বিষয়টি জানান। কিন্তু কোন কনটেইনার থেকে শব্দ আসছিল, তা তারা নিশ্চিত করতে পারছিলেন না। আজ সকালে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে মেইল দিয়েছেন। ওই কিশোর বাংলাদেশি বলে তারা জানিয়েছেন।'

ফয়সাল আরও বলেন, 'জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি পোর্ট কেলাং গেছে। খালি কনটেইনারটি নেমসান বেসরকারি ডিপো থেকে বন্দরে আনা হয়।'

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুককে একাধিকবার ফোন করা হলেও, তিনি রিসিভ করেননি।

 
   

Comments