মিশর

অনিবন্ধিত ‘৫ হাজার’ বাংলাদেশিকে বৈধতা দেওয়ার আশ্বাস

২০১৬ সালের পর মিশরে যাওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা নবায়ন চালু, ক্রমবর্ধমান ভিসা ফি কমানো, অতিবাসকালীন জরিমানা ফি মওকুফসহ বৈধ কর্মীদের অনুকূলে ভিসা নবায়ন সহজ করার জন্য বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।
মিশরের জনশক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান শাহাতারের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলামসহ বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল। ছবি: সংগৃহীত

মিশরে অনিবন্ধিত আনুমানিক ৫ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহজ প্রক্রিয়ায় বৈধ করার আশ্বাস দিয়েছে দেশটির জনশক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান শাহাতার।

এ ছাড়াও, ২০১৬ সালের পর মিশরে যাওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা নবায়ন চালু, ক্রমবর্ধমান ভিসা ফি কমানো, অতিবাসকালীন জরিমানা ফি মওকুফসহ বৈধ কর্মীদের অনুকূলে ভিসা নবায়ন সহজ করার জন্য বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।

মন্ত্রীর সঙ্গে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম বৈঠকে এ আশ্বাস পাওয়া গেছে। বৈঠকে দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইনও উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মিশরের রাজধানী কায়রোতে জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠিত বৈঠকে মিশরপ্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণ এবং ২ দেশের কর্মসংস্থান ও জনশক্তি উন্নয়নে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বাংলাদেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক অসুস্থ ও বিপদগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র স্বল্প সময়ের মধ্যে দেওয়ার অনুরোধও করা হয় বৈঠকে।

জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিশর থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের তৃতীয় দেশে চলে যাওয়া এবং কারখানা পরিবর্তন করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাষ্ট্রদূতের এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত জনশক্তি রপ্তানিসহ সম-সাময়িক বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন। মিশরীয় মন্ত্রী তার দেশের জনশক্তি রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও দেশটিতে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।

বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত বলেন, মুসলিম ভ্রাতৃত্বপ্রতীম ২ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জনশক্তি রপ্তানিতে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করছে। তাই ২ দেশের শ্রম ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় এ বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, উভয় দেশের দক্ষ কর্মী ব্যবস্থাপনা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও দক্ষ জনশক্তির প্রশিক্ষণ কোর্সের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি করা যেতে পারে।'

মনিরুল ইসলাম বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প, পর্যটন ও কৃষি খাতে উভয় দেশ একে অন্যকে সাহায্য করতে পারে। বাংলাদেশ থেকে কৃষিতে বিনিয়োগকারী এ দেশে আসার জন্য বাংলাদেশি কৃষি কর্মী নিয়োগ করলে উভয় দেশই লাভবান হবে।

বৈঠকে মিশরের জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রশাসনের প্রধান আমাল আবদেল মাওজুদ, সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের প্রধান মানল আব্দুল আজিজ, মহাপরিচালক কারিমা আব্দুর রহমান ও কারিগরি সহকারী ওমনিয়া আব্দুল হামিদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

লেখক: মিশরপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments