মালয়েশিয়ায় হুন্ডি কারবার, ১২ বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ২৯

অভিযানে নগদ হুন্ডির জন্য রাখা ৩ লাখ ৫২৭ রিঙ্গিত, মোবাইল ফোন, রেকর্ড বই এবং বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার রেমিট্যান্সের নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার অভিবাসীরা। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের রেমিট্যান্স হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করার অভিযোগে ১২ বাংলাদেশিসহ ২৯ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।

গত ২ ও ৩ এপ্রিল কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব হুন্ডি কারবারিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি ইমিগ্রেশন পুলিশ।

৫ এপ্রিল এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার অভিবাসন মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ জানান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশি ৩ জন অভিবাসী লাইসেন্সবিহীন হুন্ডি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে—এমন খবর পেয়ে ১০টি স্থানে অভিযান চালানো হয়। হুন্ডি কারবারিরা কর্তৃপক্ষের নজর ফাঁকি দিতে রেস্তোরাঁ, মুদি দোকান, কসমেটিক আউটলেট ও ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানি পরিচয়ের আড়ালে প্রবাসীদের দেশে অর্থ পাঠানের কাজে সক্রিয় ছিল।

ব্যাংক নেগারা মালয়েশিয়ার (বিএনএম) সহায়তায় ও গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত আলাদা অভিযানে হুন্ডি কারবারি ৩ হোতাসহ ২৯ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।

অভিবাসন পরিচালক জানান, তাদের মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ৫ জন ভারতীয় পুরুষ, ৮ জন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ ও ২ নারী আছেন। তারা হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাচারের মধ্যস্থতাকারী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অভিযানে নগদ হুন্ডির জন্য রাখা ৩ লাখ ৫২৭ রিঙ্গিত, মোবাইল ফোন, রেকর্ড বই এবং বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার রেমিট্যান্সের নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।

এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বছরে ১০৮ মিলিয়ন রিঙ্গিত রেমিট্যান্স হুন্ডির মাধ্যমে পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক।

অভিবাসন আইন, অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং ও অ্যান্টি-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং আইনের লঙ্ঘন করায় আরও অধিকতর তদন্তের জন্য অভিযুক্তদের সিমোনিয়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।

লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments