মিশিগানে জেমস উন্মাদনা

মিশিগানে জেমস উন্মাদনা
মঞ্চে নগর বাউল খ্যাত জেমস | ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান মাতালেন ব্যান্ড তারকা জেমস। ডিট্রয়েট সিটির বাংলা টাউন নামে জেইন ফিল্ডের মেলা প্রাঙ্গণে গত রোববার প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি ও  আমেরিকান দর্শক-স্রোতা তার গিটারের সুর ও গানে আনন্দে মেতে ওঠেন।

রোববার ছিল ৩ দিনব্যাপী ২২তম নর্থ আমেরিকা বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যালের শেষ দিন।

দুপুর থেকেই দর্শক-স্রোতা আসতে থাকেন মেলা প্রাঙ্গণে। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ অ্যাভিনিউ খ্যাত কনান্ট-ডেভিসন রোডের ট্রাফিক জ্যাম সরাতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়। সময় যত গড়াতে থাকে বাংলাদেশিদের আগমন ততই বাড়তে থাকে।

মিশিগানে জেমস উন্মাদনা
জেমসের গিটারের সুর ও গানে আনন্দে মেতে ওঠেন বাংলাদেশি আমেরিকানরা | ছবি: সংগৃহীত

আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৬টায় নগর বাউলের জেমসের আসার কথা থাকলেও প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে ও তাকে দেখতে দুপুর থেকেই অপেক্ষা থাকেন মাঠভর্তি দর্শক-শ্রোতা।

অভিনেতা রীচি সোলায়মান ও শারমিনা সিরাজ সোনিয়া যখন ২২তম নর্থ আমেরিকা বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যালে ব্যান্ডের নাম উচ্চারণ করেন, তখনই শুরু হয় দর্শকদের তুমুল করতালি। রাত ১০টায় স্টেজে আসেন জেমস।

জেমসের আমেরিকা সফরে কয়েকটি কনসার্ট হলেও মিশিগানে ছিল সর্বশেষ ও উন্মুক্ত কনসার্ট। এই কনসার্টে মিশিগান ছাড়াও ওহাইও, শিকাগো (ইলিনয়স), নিউজার্সি ও কানাডা থেকে কয়েক শ' বাংলাদেশি জড়ো হন প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে।

মিশিগানে জেমস উন্মাদনা
জেমসের গিটারের সুর ও গানে আনন্দে মেতে ওঠেন বাংলাদেশি আমেরিকানরা | ছবি: সংগৃহীত

মাথায় গামছা বেঁধে, গিটার হাতে সুর তুলতেই পুরো মাঠে শুনশান নিরবতা, 'কবিতা' গান দিয়ে শুরু হয় কনসার্ট। নির্ধারিত গানের বাইরে দর্শকদের অনুরোধে একে একে আরও অনেকগুলো জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন এই তারকা শিল্পী।

প্রিয় শিল্পীকে সামনে থেকে দেখে ভক্তদের অনেকেই জানান, জেমসের অনেক গান শুনেছেন তারা, কখনো সরাসরি দেখননি। মেলায় তাকে কাছ থেকে দেখা ছিল স্বপ্নের মতো।

আরও পারফর্ম করেন আরেক তারকা সংগীতশিল্পী রিজিয়া পারভিন, প্রবাসী শিল্পী পৃথা দেব, রিয়া রহমান, প্রেমা রহমানসহ অনেকে।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশি মালিকাধীন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর আবু বকর হানিফ, ডিট্রয়েট সিটি কাউন্সিলর স্কাট বেনসন, বেপাকের চেয়ারম্যান এহসান তাকবিম ববিভ।

উপস্থিত ছিলেন আকিকুল হক শামীম, নাসির সবুজ, খালেদ আহমদ, সাকের উদ্দিন সাদেকসহ আয়োজক কমিটির সদস্যরা।

মেলায় ছিল দেশীয় কাপড়ের দোকান ও খাবারের স্টল।

লেখক: মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
Pharmaceutical raw material import dependency Bangladesh

Heavy import reliance leaves pharma industry vulnerable

Despite success, Bangladesh's pharma industry hinges on imported raw materials

13h ago