মঞ্চ ও সংগীত

জেমস ভাইয়ের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি শো আমি করেছি: কর্ণিয়া

জেমস ভাইয়ার সঙ্গে গান গাইতে গিয়ে ভয় হতো যে, দর্শকরা আমার গান কীভাবে নেবেন? জেমস ভাই থাকলে আমার গান তারা শুনবেন কিনা! এসব ভয় কাজ করত। কিন্তু, কখনো সমস্যা হয়নি।
কর্ণিয়া
কর্ণিয়া। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার ফাইল ফটো

নতুন প্রজন্মের সংগীতশিল্পী হিসেবে কর্ণিয়ার যাত্রা শুরু হয়েছিল 'পাওয়ার ভয়েজ' প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে। প্রায় ১২ বছর ধরে বিরতিহীনভাবে গান করছেন তিনি। স্টেজ শো, টেলিভিশনে গানের অনুষ্ঠান ও প্লেব্যাক নিয়ে কাটছে তার ব্যস্ত সময়। চলতি মাসে তার নতুন গান প্রকাশ পেয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন কর্ণিয়া।

গত ১২ বছর ধরে গান গাচ্ছেন, কেমন লাগছে?

ভীষণ ভালো লাগছে। গান আমার ভালোবাসা-সাধনা। এক কথায় গান সবকিছু। গত ১২ বছরে গান করে দর্শক-শ্রোতাদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। সিনেমায় গান গেয়েছি। স্টেজ শো করছি নিয়মিত। টেলিভিশনেও গান করছি। বড় কথা হচ্ছে, যাদেরকে স্বপ্নের গায়ক-গায়িকা বলে সম্মান করি তাদের ভালোবাসা পেয়েছি। তাদের সঙ্গে গানও গেয়েছি। গানের জন্যই মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি।

কর্ণিয়া
কর্ণিয়া। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার ফাইল ফটো

নগরবাউল-খ্যাত জেমসের সঙ্গে গানের অভিজ্ঞতাও আপনার আছে?

জেমস ভাইয়ের সঙ্গে গানের অভিজ্ঞতা আমার জন্য বড় পাওয়া। তিনি বিশাল মাপের শিল্পী। তার সঙ্গে ছয় জেলায় ছয় স্টেডিয়ামে স্টেজ শো করেছি। আমার সমসাময়িক শিল্পীদের মধ্যে আমিই জেমস ভাইয়ের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি শো করেছি।

আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের কথা বলছি। জেমস ভাইয়ার সঙ্গে গান গাইতে গিয়ে ভয় হতো যে, দর্শকরা আমার গান কীভাবে নেবেন? জেমস ভাই থাকলে আমার গান তারা শুনবেন কিনা! এসব ভয় কাজ করত। কিন্তু, কখনো সমস্যা হয়নি।

আপনারা যারা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গানে এসেছেন, তাদের অনেকেই হারিয়ে গেছেন। এর কারণ কী?

এটা শুধু গানের ক্ষেত্রেই নয়, যে কোনো মাধ্যমেই সিরিয়াস না হলে, কাজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে, নিয়মিত না হলে, পরিশ্রম না করলে, হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। কাজের ক্ষেত্রে সিরিয়াস হওয়ার পাশাপাশি এর সঙ্গে লেগে থাকতে হয়। 'হাল ছেড়ো না'—কথাটি মানতে হয়।

কর্ণিয়া। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার ফাইল ফটো

 

দেখুন, আমি নিয়মিত নতুন নতুন গান করছি। স্টেজ শো তো আলাদা কথা। ২-৩ মাস পর পর নতুন গান শ্রোতাদের উপহার দিচ্ছি। ২০২০ সাল থেকে আমার চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করছি। সময়ের সঙ্গে থাকার জন্য এটা করছি। এতে করে একদিকে যেমন গানের সংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে নতুন গানও আসছে। আমি গানের সঙ্গে আছি।

কর্ণিয়া
কর্ণিয়া। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার ফাইল ফটো

 

দর্শকরা স্টেজে মূলত কী ধরনের গান শুনতে চান?

দর্শকরা নানা ধরনের গান শুনতে চান। ফোক বা সিনেমার গান শুনতে চান। পাশের দেশের গানও শুনতে চান। আমি সাধারণত পপ গাই। এখন অবশ্য দর্শকদের কথা মাথায় রেখেও গান গাই। স্টেজ শো করার সময় সবকিছু মাথায় রাখতে হয়।

গানের জন্য পরিবারের সমর্থন কতটা পেয়েছেন?

দাদু বাড়ির মানুষজন চাইতেন না আমি গান গাই। নানু বাড়ির মানুষরা চাইতেন। সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছি মায়ের কাছ থেকে। মা সবসময় সাপোর্ট করেছেন। মায়ের জন্যই এতদূর আসতে পেরেছি।

কর্ণিয়া
কর্ণিয়া। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার ফাইল ফটো

স্টেজ শোর ব্যস্ততা কেমন?

আছে মোটামুটি। সম্প্রতি কক্সবাজারে শো করে এলাম। চলতি মাসে ঢাকা ও কুমিল্লায় শো আছে। সামনে স্টেজ শোর মৌসুম আসছে। তখন ব্যস্ততা আরও বাড়বে।

স্টেজে গান গাইতে বেশি এনজয় করি। স্টেজে সবার শেষে আমাকে ডাকা হয়। গানের সঙ্গে আমি পারফরমেন্সও করি। দর্শকরা জানেন যে আমি ড্যান্স করবো। গানের পাশাপাশি আমার ড্যান্সের জন্য তারা অপেক্ষা করেন।

Comments

The Daily Star  | English
Workers rights vs corporate profits

How some actors gambled with workers’ rights to save corporate profits

The CSDDD is the result of years of campaigning by a large coalition of civil society groups who managed to shift the narrative around corporate abuse.

11h ago