২৩তম টোকিও বৈশাখী মেলা উদযাপিত

এ বছর রমজানের পরে বাংলা নববর্ষ হলেও ঈদ পরবর্তী বিভিন্ন আয়োজন এবং মেলার মাঠ প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন কারণে এক সপ্তাহ পরে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়।
মেলায় সাংস্কৃতিক আয়োজনে নাচ পরিবেশন করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের টোকিওতে বৈশাখী মেলা কারি ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে ২১ এপ্রিল। এবার ছিল এর ২৩তম আয়োজন।

তোশিমা সিটির ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে এই মেলার আয়োজন করা হয়। এই পার্কেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে টোকিও শহীদ মিনার, যা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে টোকিওতে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এরপর ২০২৩ সালে পবিত্র রমজানে বাংলা নববর্ষ হওয়ায় এর ২৪ দিন পর ৮ মে মেলার আয়োজন করে আয়োজকরা।

মেলায় সাংস্কৃতিক আয়োজনে গান পরিবেশন করছেন বেবী নাজনিন। ছবি: সংগৃহীত

এ বছর রমজানের পরে বাংলা নববর্ষ হলেও ঈদ পরবর্তী বিভিন্ন আয়োজন এবং মেলার মাঠ প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন কারণে এক সপ্তাহ পরে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়।

মেলাটি ঘিরে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাপক উচ্ছ্বসিত ছিলেন।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'এসো হে বৈশাখ' গান পরিবেশনার মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন করা হয়। এরপর উন্মুক্ত অনুষ্ঠান, জাপানি অনুষ্ঠান, ভিআইপি অতিথিদের অভ্যর্থনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলা শেষ হয়।

এ বছর মেলার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার।

মেলায় আগত অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহামেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন তোশিমা সিটি মেয়র মিয়ুকি তাকাগিওয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া বিভাগের সচিব ইয়াসুহিরো শিনতো, জাপান-বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হিরোয়ুকি সাকুরাই এবং আয়োজক সংগঠন জেবিএসের চেয়ারম্যান ওসামু ওৎসুবো।

এ বছর অতিথি শিল্পী হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন।

বৈশাখী মেলা ঘিরে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছিলেন ব্যাপক উচ্ছ্বসিত। ছবি: সংগৃহীত

 

Comments