মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে প্রবাসী শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য: জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। ফাইল ছবি
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। ফাইল ছবি

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মী ও শরণার্থীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মালয়েশিয়ায় দুই দিনের সফরের পর এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

ভলকার তুর্ক বলেন, 'সমাজে অভিবাসীদের বিভিন্ন অবদান স্বীকৃতি, সম্মান ও প্রশংসার দাবি রাখে।'

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন কার্যালয়ের এক গবেষণার বরাতে তিনি বলেন, 'মালয়েশিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ স্পষ্টভাবে দেশটির অর্থনীতি ও সমাজে প্রবাসী কর্মীদের অবদানকে স্বীকার করে।'

গবেষণার জরিপের বরাত দিয়ে ভলকার তুর্ক জানান, যখন সবার প্রতি সবার সমর্থন থাকে, তখন আমাদের সমাজ শক্তিশালী হয় বলে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৬৩ শতাংশ মনে করেন।

অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকের বেশি মনে করেন, আমাদের অন্যদের সহযোগিতা করা উচিত, তারা যেই হোক বা যেখান থেকেই আসুক না কেন।

মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেন, 'অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রতিরোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'

তিনি গত রোববার মালয়েশিয়ায় পৌঁছান এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী উতামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান, অন্যান্য মন্ত্রী, মালয়েশিয়ার জাতীয় মানবাধিকার ইনস্টিটিউশন এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এছাড়া মিয়ানমারের সংকট, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও তিনি কথা বলেন এবং আসিয়ানের পরবর্তী চেয়ার হিসেবে মালয়েশিয়াকে তাদের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দেন।

মিয়ানমারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জরুরি সমাধানের ওপর জোর দিয়ে ভলকার তুর্ক বলেন, 'একটি সমাজ সবচেয়ে দুর্বলদের সঙ্গে কেমন আচরণ করে, তা দিয়ে তাদের অগ্রগতি পরিমাপ করা যায় এবং প্রকৃতপক্ষে এটি সামাজিক ও মানবাধিকার সুরক্ষার একটি লিটমাস পরীক্ষা।'

 

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

14h ago