জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষুধা ও ভোগান্তির ‘ভীতিকর’ ভবিষ্যৎ: জাতিসংঘ

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। ফাইল ছবি
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। ফাইল ছবি

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান ভলকার তুর্ক সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষুধা ও ভোগান্তিসহ 'প্রকৃতপক্ষে ভীতিকর' ভবিষ্যৎ সৃষ্টি হতে পারে।

আজ সোমবার বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

ভলকার তুর্ক বিশ্ব নেতাদের তীব্র সমালোচনা করে জানান, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় নেতারা শুধু স্বল্প মেয়াদে চিন্তা করছেন।

খাদ্য অধিকার নিয়ে আয়োজিত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিলে আজ তুর্ক বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে ক্ষেতের ফসল, গবাদি পশুর পাল ও বাস্তুতন্ত্র নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সদস্যরা একে অপরকে সহায়তাও করতে পারছে না, আর নিজেদের জীবনের পুনর্গঠনও করতে পারছে না।

তুর্ক বলেন, '২০২১ সালে ৮২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত ছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে আরও ৮ কোটি মানুষ এ তালিকায় যুক্ত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন।'

অর্থাৎ ২০৫০ সাল নাগাদ প্রায় ৯০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকার ঝুঁকিতে থাকবেন।

'আমাদের পরিবেশ পুড়ছে। গলে যাচ্ছে। বন্যা হচ্ছে। ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে এটি মৃত্যুর দিকে আগাচ্ছে। এর মৃত্যু হচ্ছে', যোগ করেন তিনি।

তিনি আরো মন্তব্য করেন, আগামীতে কল্পবিজ্ঞানের গল্পের মতো ভয়াবহ 'ডিসটোপিয়ান' ভবিষ্যৎ আমাদের দোরগোড়ায়।

তিনি বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করা মানবাধিকার রক্ষার মতো বিষয়। এখনো আমাদের হাতে সময় আছে। কিন্তু এখনই সেই সময়।'

তুর্ক তার বক্তব্যে আরো বলেন, 'আমাদের উচিৎ হবে না আমাদের সন্তান ও তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষুধা ও ভোগান্তির ভবিষ্যৎ রেখে যাওয়া। এবং আমরা চাইলে এটা এড়াতে পারি।'

'আমাদের প্রজন্মের হাতে ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি রয়েছে। আমাদের হাতে এই ভবিষ্যৎ বদলানোর সক্ষমতা রয়েছে', যোগ করেন তিনি।

বিশ্ব নেতাদের সমালোচনা করে তুর্ক বলেন, তারা 'উদ্যোগ নেওয়ার যাবতীয় মহড়া শেষ করেন এবং সে অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তাদের সব উদ্যোগ স্বল্প মেয়াদে আটকে থাকে।'

তিনি জীবাশ্ম ভিত্তিক জ্বালানি খাতে 'কাণ্ডজ্ঞানহীন ভর্তুকি' দেওয়া বন্ধের আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিলের ৫৩তম অধিবেশন ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Can Bangladesh ride out the wave of US tariffs?

Trump's announcement sent businesses scrambling. Orders froze. Buyers demanded discounts. Stock markets plummeted.

11h ago