দেশের আর্থিক খাতে প্রথমবারের মতো ৩৫টি ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে যাচ্ছে।
‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’
‘প্রতিষ্ঠান ভেদে সুনির্দিষ্ট চাহিদা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন নীতি সহায়তা দেওয়া হবে।’
ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (পিএসপি) টাকা লেনদেনের সুবিধার্থে ২০২২ সালের নভেম্বরে ‘বিনিময়’ চালু হয়।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে—রিজার্ভ বৃদ্ধি ও ডলারের স্থিতিশীল বিনিময় হারের ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত হয়েছে।
তাদের অনাদায়ী ঋণ (এনপিএল) আগের ঘোষিত তথ্যের চেয়ে চারগুণ বেশি।
অর্থনীতিবিদ ও নীতি নির্ধারকেরা যখন ডলারের উচ্চমূল্যকে দেশের দীর্ঘমেয়াদী মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী করছেন, ঠিক তখনই টাকার মান কিছুটা বাড়তেই বাজারে হস্তক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ২০টি প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের প্রায় ২২ হাজার ১২৭ কোটি টাকার আমানত রয়েছে।
গভর্নর বলেন, ব্যাংকের মালিক হলেই যা ইচ্ছা তাই করার ক্ষমতা দেওয়া হয় না। লুটপাটের কোনো অধিকার তাদের নেই। ব্যাংক চলে জনগণের টাকায়। মালিকেরা সেই জনগণের টাকার জিম্মাদার মাত্র।
‘ঋণখেলাপিদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। অন্যথায় অন্যরাও ঋণ খেলাপি হতে উৎসাহিত হবেন।’
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মো. আবদুল ওয়ারেস আনসারী জানতেন না তার পরিচয় ও তথ্য ব্যবহার করে ‘ওয়ারেস আনসারী’ সেজে কেউ বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করছেন!
গত ২১ মে বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৮ ব্যাংককে চিঠি দেয়। তাতে আর্থিক পরিস্থিতি সংকটাপন্ন হওয়ায় ব্যাংকগুলোকে লভ্যাংশ দিতে নিষিদ্ধ করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার আশা করছে—রেমিট্যান্স, রপ্তানি ও উন্নয়ন সহযোগীদের বাজেট সহায়তার কারণে ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশের রিজার্ভ ৩৪ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার হবে।
গত শুক্রবার অন্তবর্তীকালীন সরকার ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স ২০২৫-এর গেজেট প্রকাশ করে। বাংলাদেশ ব্যাংককে বেসরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বিদেশিসহ দেশের ৬১ তফসিলি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার...
গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজের পরিচালক সামির আল রশিদ বলেন, অধিগ্রহণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
কিছু ব্যাংক এখনো তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী মূলধন ধরে রাখতে পারলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী এই খাতে রয়েছে বড় ফারাক।
অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স-২০২৫ অনুমোদন করেছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো এই অধ্যাদেশের আওতায় অবসায়ন বা মার্জার হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নোট ছাপিয়ে সরাসরি সরকারকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় সরকারের আর্থিক চাহিদা মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।