চিঠিতে আরও বলা হয়, এসব সমস্যার সমাধান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বিষয়ে আলোচনাকে সফলভাবে উপসংহারের দিকে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই বাণিজ্য সচিব-পর্যায়ের বৈঠকের অনুরোধ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
সিপিডির তথ্য বলছে, একই ধরনের পণ্যের জন্য এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সব সময়ই কম দাম পায়।
ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ভুলতা, মাওনা ও টঙ্গীসহ গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় অনেক বস্ত্র কারখানার উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশের কার্গো পরিচালন সক্ষমতা বাড়ানোর বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসেবে সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু হচ্ছে, প্রস্তুত হচ্ছে চট্টগ্রামও।
কারখানাগুলো জুন থেকে বড়দিন মৌসুমের জন্য পুরোদমে পোশাক তৈরি শুরু করবে, যা জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত চলবে। যুক্তরাষ্ট্রে এসব পণ্য পাঠানো শুরু হবে আগস্ট থেকে, যাতে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সেগুলো বিক্রি করা যায়।
ট্রাম্প প্রশাসনের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। এর ফলে দেশের তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ নেতারা এবং বিশ্লেষকরা উদ্বেগ জানিয়েছেন— বাংলাদেশ কি আদৌ তার বৈশ্বিক অবস্থান ধরে রাখতে...
‘কারখানাগুলোর সক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগাতে গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ প্রয়োজন। কারখানাগুলো যদি পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে চলতে না পারে, তাহলে তারা লোকসানে পড়বে। ফলে এ খাতে বিনিয়োগ করতে কেউ আগ্রহী হবেন না।’
জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য উদ্বেগের আরেক বড় কারণ। অনেকে আবার ব্যাংকে ডলার ঘাটতির কারণে এলসি খুলতে পারছেন না।
দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো রাশিয়ার খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে থাকায় বিকল্প পথে রপ্তানি বন্ধ হয়নি।
গত দেড় বছর ধরে টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
এই অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতির দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধার্থে সম্প্রতি বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস স্থাপন করেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে তুলাবর্জ্য রপ্তানি ৭৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। এ থেকে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর এমন চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের পোশাক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, বস্ত্র কারখানার পাশাপাশি তাঁতিরাও তাদের উত্পাদন বাড়াচ্ছেন।
দেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের কাছে সুতার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গত ২ সপ্তাহ ধরে অভ্যন্তরীণ বাজারে বাড়তি সুতার দাম।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কানাডায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ১৫৫ কোটি ডলারে পৌঁছে। এর আগের অর্থবছরের তুলনায় তা ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি।