কালো টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে আবাসন খাতে
অন্তর্বর্তী সরকার আবাসন খাতে 'কালো টাকা' হিসাবে পরিচিত অঘোষিত সম্পদ বিনিয়োগের সুযোগ দিতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট করের হার বাড়বে।
আজ সোমবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের সময় নতুন কর হার ঘোষণা করতে পারেন। এটি বর্তমান হারের তুলনায় পাঁচগুণ হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকার আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করতে চায় এবং করের হারকে বাজারদরের কাছাকাছি আনতে চায়।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রচুর জরিমানাসহ এই সুবিধাটি চলমান থাকতে পারে। কারণ, আবাসন ব্যবসায়ীরা চলমান অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বাঁচতে সহায়তার অনুরোধ করেছেন।'
আয়কর আইন-২০২৩'র অধীনে, কালো টাকা দিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট কেনার ওপর বর্তমান কর হার প্রতি বর্গমিটার ভিত্তিতে ধরা হয়।
বর্তমানে আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগ করলে ঢাকার অভিজাত এলাকায় প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ কর দিতে হয়।
বাড়ি, ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের জন্য কর হার ছয় হাজার টাকা। রাজধানীর গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মতিঝিল, তেজগাঁও, ওয়ারী, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, রমনা, শাহবাগ, কাফরুল, নিউমার্কেট, পল্টন ও কলাবাগান থানার আওতাধীন সব মৌজায় প্রতি বর্গমিটারের জন্য তা ১৫ হাজার টাকা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন—একই পদ্ধতি মেনে চলা হবে। তবে উচ্চতর কর হার জায়গা ভেদে তিন থেকে পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ভবন, বাড়ি, ফ্ল্যাট, ফ্লোর স্পেস ও জমির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান গত সপ্তাহে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখার উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেন, 'এটি নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিকর।'
Comments