বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা অন্য দেশের জন্য শিক্ষণীয়: বিশ্বব্যাংক

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা অন্য দেশের জন্য শিক্ষণীয়। বাংলাদেশের এ টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন যাত্রায় বিশ্বব্যাংক পাশেই থাকবে।’ 
মার্টিন রেইজারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বলেছেন, 'বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা অন্য দেশের জন্য শিক্ষণীয়। বাংলাদেশের এ টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন যাত্রায় বিশ্বব্যাংক পাশেই থাকবে।' 

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট রেইজার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফর শেষে এ কথা জানান। 

তিনি বলেন, 'উন্নয়নের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সাফল্যের উপাখ্যান বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাংক গত ৫০ বছর দেশটির এই যাত্রায় অংশীদার হতে পেরে গর্বিত।'

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে রেইজার করোনাভাইরাস মহামারির পর দ্রুত অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক, পরিস্থিতি ও আর্থিক নীতিমালার ওপর এর প্রভাব নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।

তিনি জানান, প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং অনিশ্চিত পরিস্থিতি ও বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতির মাঝে ব্যষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে বাংলাদেশকে জাতীয় পরিকল্পনায় উল্লেখিত সংস্কার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন করতে হবে। 

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক (সিপিএফ) তৈরি করতে যাচ্ছে। এই ফ্রেমওয়ার্কের ভিত্তিতে ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতি সংস্থাটির সহায়তার ব্যাপ্তি নির্ধারিত হবে। 

বিশ্বব্যাংকের সহায়তা বাংলাদেশের ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হওয়ার স্বপ্নের বাস্তবায়নে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়েও রেইজার আলোচনা করেন। 

স্বাধীনতার পর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে শুরুর দিকের কয়েকটি উন্নয়ন অংশীদারের অন্যতম। ৫০ বছরের অংশীদারিত্বে, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তার জন্য ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থায়নের ব্যবস্থা করেছে, যার মধ্যে আছে অনুদান, সুদ-মুক্ত ঋণ ও স্বল্প সুদে ঋণ।

এ মুহূর্তে বিশ্বব্যাংকের ১ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার অর্থায়নে ৫৫টি প্রকল্প চলছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার।

Comments