বাংলাদেশে আটার উচ্চমূল্য, তৃতীয়বার সতর্ক করলো এফএও

গমের আটার দাম যখন নতুন রেকর্ড করছে তখন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বাংলাদেশে গমের দামের বিষয়ে আবারও উচ্চমূল্য সতর্কতা দিয়েছে।
রাশিয়া থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করবে সরকার
চট্টগ্রামের চরপাড়া ঘাটে একটি জাহাজ থেকে আমদানি করা গম বস্তায় ভরছেন শ্রমিকরা। ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

গমের আটার দাম যখন নতুন রেকর্ড করছে তখন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বাংলাদেশে গমের দামের বিষয়ে আবারও উচ্চমূল্য সতর্কতা দিয়েছে।

নভেম্বরে টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে আটার দামের বিষয়ে সতর্ক করলো সংস্থাটি।

সপ্তাহের শেষের দিকে ঢাকায় প্রতি কেজি আটার দাম প্রথমবারের মতো ৬০ টাকার বেশি হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরেও আটার গড় দাম ছিল ৫০ টাকা ১০ পয়সা, যা অক্টোবরে দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৬৫ পয়সায়।

এফএও বলছে, অক্টোবরে গমের আটার দাম গত বছরের এই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি।

গত শুক্রবার প্রকাশিত মাসিক 'ফুড প্রাইস মনিটরিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিসে' বলা হয়েছে, 'আটার এই উচ্চমূল্য আমদানি মন্থরতা ও জ্বালানির উচ্চ মূল্যকেই প্রতিফলিত করে।'

বাংলাদেশই একমাত্র এশীয় দেশ যেখানে এ মাসে উচ্চ মূল্য সতর্কতা দিয়েছে এফএও। এ মাসে এই সর্তকতা দেওয়া হয়েছে মোট ৭টি দেশকে। বাংলাদেশ ছাড়াও কলোম্বিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের ৫টি দেশ রয়েছে তালিকায়।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ঢাকায় খোলা আটা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। ১ মাস আগের তুলনায় যা ৮ শতাংশ বেশি।

গত জানুয়ারিতে রাজধানীতে আটার দাম ছিল প্রতি কেজি ৩৪ টাকা। ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই আটার দাম বাড়তে শুরু করে।

মে মাসে ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশে আটার দাম আরও বেড়ে যায়।

২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে গম আমদানি ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে। দাম বৃদ্ধির কারণে বাধ্য হয়ে আটা কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি আমদানিকারকরা গত অর্থবছরে ৪০ লাখ টন গম আমদানি করেছেন। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা ২৫ শতাংশ কম।

চলতি অর্থবছরের গত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের গম আমদানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ শতাংশ কমে ৩ লাখ ৮৪ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন কৃষি বিভাগ বাংলাদেশের শস্য ও খাদ্যের পূর্বাভাসে বলেছে, উচ্চ বাজার মূল্য ও সরবরাহ কম থাকায় বাংলাদেশে গমের ব্যবহার ২০২২-২৩ বিপণন বছরে ১০ শতাংশ কমে ৬৯ লাখ টন হতে পারে।

বাংলাদেশ বছরে প্রায় ১০ লাখ টন গম উৎপাদন করে এবং চাহিদার বাকি অংশ পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে।

Comments