রোজার আগে চিনি-তেলসহ ৮ পণ্য আমদানির এলসি মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ

আগামী রমজানে বেশ কিছু পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এবং চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে কয়েকটি পণ্য আমদানিতে ন্যূনতম মার্জিন রেখে ঋণপত্র (এলসি) খোলার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক

আগামী রমজানে বেশ কিছু পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এবং চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে কয়েকটি পণ্য আমদানিতে ন্যূনতম মার্জিন রেখে ঋণপত্র (এলসি) খোলার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রমজান মাস শুরু হওয়ার অন্তত ৩ মাস আগে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দিয়েছে।

রমজানে সাধারণত ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, মশলা ও খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায়। তখন এসব পণ্যের দামও বেড়ে যায়।

উচ্চ আমদানি ব্যয়, বর্ধিত পরিবহন ও জ্বালানি ব্যয়ের কারণে ইতোমধ্যেই দেশীয় বাজারে ভোজ্যতেল ও চিনির মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের দাম বেড়েছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক পণ্য আমদানিতে সাধারণত এলসির কোনো মার্জিন নির্ধারণ করে না। 

তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে বিলাসবহুল এবং অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত অগ্রিম রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  

আজকের বিজ্ঞপ্তিতে ভোজ্যতেল, ছোলা, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, চিনি, মটর, মশলা এবং খেজুর এই ৮টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম এলসি মার্জিন ব্যাংক ও আমদানিকারকরা নির্ধারণ করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোজা শুরু আগে মার্চ পর্যন্ত ৪ মাসে দেশে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ছোলা, খেজুর, মসুর ডাল, অপরিশোধিত ভোজ্যতেল, চিনি ও গমের প্রয়োজন হবে।

এর মধ্যে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পরিশোধিত পাম তেল, চিনি ও গম প্রয়োজন হবে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের।

Comments