খরায় শুকাচ্ছে নৌকার ব্যবসা
পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাব ও ঘন ঘন তাপপ্রবাহে অনেক নদী-খাল ও জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় নদীমাতৃক দেশটির যোগাযোগের অন্যতম বড় মাধ্যম নৌকার ব্যবহার ক্রমশ কমছে। খরায় যেন শুকিয়ে যাচ্ছে নৌকার বাণিজ্য।
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় আটঘর কুড়িয়ানা বাজারে সপ্তাহে ২ দিন বসে কাঠের তৈরি নৌকার হাট। সম্প্রতি, সেখানে গিয়ে দেখা গেল এমন দৃশ্য।
হাটে নৌকা কিনতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নৌকায় করে জলাশয়ে মাছ ধরি। কিন্তু, এ বছর পানি কম।'
পিরোজপুরের নেছারাবাদের মতো বরিশালের বানারীপাড়া ও ঝালকাঠি সদর উপজেলার অনেকে এই হাটে আসেন নৌকা কিনতে। তাদের বেশিরভাগই যাতায়াতের জন্য নৌকা ব্যবহার করেন।
এ ছাড়াও, মাছ ধরা ও নানা জায়গা ঘুরে কচুরিপানাসহ অন্যান্য গোখাদ্য জোগাড় করতে অনেকে নৌকা ব্যবহার করেন। অনেকে আবার নৌকায় চড়ে বাগানে গিয়ে পেয়ারা ও আমড়া সংগ্রহ করেন।
কাঠের মানের ওপর নির্ভর করে একেকটি নৌকা ৩ বছরের মতো টিকে। নৌকা বানাতে অন্যান্য গাছের পাশাপাশি মেহগনি, রেইনট্রি ও সেগুন ব্যবহার করা হয়।
একটি নৌকার দাম আড়াই হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। হাল-বৈঠাসহ নৌকার অন্যান্য উপকরণ বিক্রি হয় দেড় শ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
এ ছাড়াও, এই হাটে পুরনো নৌকা ২ হাজার টাকার কম দামে বিক্রি হয়।
বিক্রেতারা ডেইলি স্টারকে জানান, পানি বাড়লে নৌকার চাহিদা বাড়ে।
নৌকা ব্যবসায়ী কামরুল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পেয়ারা সংগ্রহ শুরু হবে। তখন বৃষ্টি না থাকলেও নৌকার চাহিদা বাড়তে পারে।'
'কেননা, চারপাশে নদী-খাল থাকায় চাষিরা নৌকায় চড়ে বাগানে গিয়ে পেয়ারা তুলবেন। তাদের অনেকেই সেই পেয়ার নৌকায় করে বাজারে আনবেন,' যোগ করেন তিনি।
আটঘর কুড়িয়ানা বাজারের ইজারাদার আব্দুর রহিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগে যেখানে প্রতি সপ্তাহে ৩০০ নৌকা হতো, এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০টির মতো।'
'আশা করি আগামী ১ মাসের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে,' যোগ করেন তিনি।
Comments