থমকে আছে জীবনের চাকা: পাটকল চালুর আশায় হাজারো শ্রমিক

ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

এক সময়ের শিল্পনগরী খুলনার প্রাণকেন্দ্র ছিল খালিশপুর। এখন সেখানে আর শোনা যায় না কল-কারখানার বাঁশি, চিমনি থেকে আর ওঠে না ধোঁয়া। ২০২০ সালের ২ জুলাই খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয়টিসহ সারা দেশের ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্রমাগত লোকসান ও অত্যধিক উৎপাদন খরচসহ বিভিন্ন কারণে। তারপর থেকে হাজারো শ্রমিক বেকার।

তাদের অনেকেই আজও দিশাহীন, বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

৪৭ বছর বয়সী নাসিমা আক্তার ক্রিসেন্ট জুট মিলে ১৬ বছর বদলি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু স্থায়ী হতে পারেননি। যখন মিল বন্ধ হয়ে যায়, তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।

নাসিমা তার ছেলে হাসিব ও মেয়ে রহিমাকে নিয়ে এখন থাকেন নগরীর বাস্তুহারা এলাকায়। সন্তানদের লেখাপড়া শেখাতে পারেননি। মায়ের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে ছেলে হাসিব একটি বেসরকারি বিদ্যুৎ কারখানায় কাজ নেন। 
মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন অল্প বয়সেই।

দ্য ডেইলি স্টারকে নাসিমা বলেন, 'মিল বন্ধ হওয়ার সময় এক লাখ ১৪ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। সেই টাকা আর কতদিন চলে? এখন বিভিন্ন কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালাই।'

নাসিমার বাবা আব্দুল মান্নান স্বাধীনতার আগেই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে খুলনায় আসেন এবং কাজ নেন ক্রিসেন্ট জুট মিলে। গ্রামে জায়গা-জমি কিছুই নেই। তার দুই ভাই শাহাদাত ও আল আমীন ক্রিসেন্ট জুট মিলে শ্রমিক ছিলেন। তারা এখন নগরীতে বিভিন্ন পণ্য হকারি করেন।

নাসিমা ও তার ভাইদের মতোই পাটকলগুলোর স্থায়ী, অস্থায়ী ও বদলি প্রায় ৫০ হাজারের বেশি শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছিল।

তৎকালীন সরকার বলেছিল, বন্ধ কারখানাগুলোকে আধুনিকীকরণ করে শিগগির ভিন্ন ব্যবস্থার মাধ্যমে পুনরায় চালু করা হবে।

পাঁচ বছর পরও সরকারের সেই উদ্যোগের কেবল আংশিক ও অসম বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে।

পাটকল আবার চালু হওয়ার আশায় থাকা নাসিমা বলেন, 'খুলনার খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে এখনো কয়েক হাজার শ্রমিক নয়টি পাটকল চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাটকল কবে চালু হবে তা কেউ জানেন না।'

সামাজিক নিরাপত্তা

নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ছাঁটাই হওয়া এই শ্রমিকরা পাটকল চালুর অপেক্ষা করেন। কারণ, তাদের জন্য এটা কেবল চাকরি নয়, বরং সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মানেরও বিষয় ছিল।

নাসিমা বলেন, 'যখন মিল চালু ছিল তখন দোকানদাররাও আমাদেরকে বাকি দিত। তারা জানত, যত দেরিই হোক, বিল পেলে তাদের পাওনা পরিশোধ করতে পারব। কিন্তু এখন তো আর বাকি দেয় না। অনেক বাড়িওয়ালাও আমাদেরকে বাসা দিতে চায় না ঠিকমতো ভাড়া দিতে পারব কি না, এই আশঙ্কায়।'

'খালিশপুর এলাকায় গেলে দেখা যায়, শত শত টু-লেট টানানো, কিন্তু শ্রমিকদের ভাড়া দিতে চায় না,' বলেন তিনি।

বন্ধ হয়ে যাওয়া প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক তাজুল ইসলাম এখন বাসের হেলপার। তিনি বলেন, 'মিল চলার সময় তিনবেলা খেতে পারতাম, ছেলেমেয়েদের স্কুলে দিতে পারতাম। বৃহস্পতিবার বেতনের দিন ছিল সবচেয়ে আনন্দের। সকালে মিলের বাঁশি বাজলেই আমরা লাইন ধরে ভেতরে ঢুকতাম। সেই জীবনে আনন্দ ছিল, সম্মান ছিল।'

'এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এত কষ্ট করি, তাও সংসার ঠিক মতো চলে না। জানি না কবে ভালো দিন আসবে,' বলেন তিনি।

প্লাটিনাম জুট মিলের সাবেক সিবিএ নেতা মো. খলিলুর রহমান বলেন, 'মিল বন্ধ হওয়ার পর হাজারো পরিবার চরম দারিদ্র্যে পড়েছে। তাদের সন্তানরা স্কুল ছেড়েছে; চিকিৎসা দূরের কথা, এখন পেট চালানোই কষ্ট। শত শত শ্রমিক রিকশা চালিয়ে বেঁচে আছে। তারা আশায় আছে, যদি একদিন মিল খুলে।'

প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়নি

সরকারের পরিকল্পনা ছিল তিন মাসের মধ্যে বন্ধ পাটকলগুলো পুনরায় চালু করা। কিন্তু তা হয়নি।

পরবর্তীতে, ২০২১ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের সরকারি মালিকানাধীন পাটকল পরিচালনাকারী সংস্থা বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের ১৭টি মিল পাঁচ থেকে ২০ বছরের জন্য লিজ দেওয়ার জন্য আগ্রহীদের আবেদন করার আহ্বান জানায়।

এখন পর্যন্ত, মাত্র ১৩টি পাটকল বেসরকারি মালিকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে।

খুলনা-যশোর অঞ্চলে নয়টি পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে চারটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সীমিত উৎপাদন শুরু করেছে। বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) তথ্য বলছে, এসব পাটকলে তিন হাজার ১৭০ জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ, একসময় এসব পাটকলের ওপর নির্ভরশীল ছিল ৩৪ হাজারের বেশি শ্রমিক ও তাদের পরিবার।

নানা সংকটে বেসরকারি খাতে ইজারার পাটকল

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়টি পাটকলের মধ্যে তিনটি—দৌলতপুর জুট মিলস, খালিশপুর জুট মিলস ও ক্রিসেন্ট জুট মিলস—ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্লাটিনাম জুট মিলস ও স্টার জুট মিলসের ইজারা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ ছাড়া, যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ (জেজেআই), কার্পেটিং জুট মিলস ও ইস্টার্ন জুট মিলস বর্তমানে উৎপাদনে রয়েছে।

ইজারা সংক্রান্ত আইনি বিরোধের কারণে আলীম জুট মিলস বন্ধ রয়েছে।

২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর জুট মিল ফরচুন গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করে বিজেএমসি। প্রতি মাসে সাড়ে নয় লাখ টাকা ভাড়ায় তারা পাটপণ্য উৎপাদন শুরু করে। ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ তারা কারখানায় স্বল্প পরিসরে শুরু করে জুতা তৈরি। কারখানার দুই ইউনিটে ৭০০ শ্রমিক কাজ করতেন। সম্প্রতি ওই জুতার কারখানায় লে-অফ ঘোষণা করা হয়। ফলে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ৪৫০ শ্রমিক।

গত ১০ জুলাই দৌলতপুর জুট মিলে সরেজমিনে দেখা যায়, পাটপণ্য উৎপাদন ইউনিটে অল্প কিছু শ্রমিক কাজ করছেন। বেশির ভাগ মেশিন বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। জুতার কারখানায় ঝুলছে তালা।

ফরচুন গ্রুপের আইনি পরামর্শক মাসুম বিল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখানে তৈরি শতভাগ জুতা রপ্তানি হতো। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সমস্যার কারণে রপ্তানি ও অর্ডার বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্য কারখানা লে-অফ করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'বর্তমানে পাটপণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ১৪৮ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তবে কাঁচা পাটের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে পাট ইউনিটও সংকটে রয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় এক টন পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। গত দুই বছরে আমাদের পাটপণ্য ইউনিটেই লোকসান হয়েছে প্রায় ছয় কোটি টাকা।'

২০২৩ সালের ৩ মে জেজেআই জুট মিলের ইজারা বুঝে নেয় আকিজ গ্রুপ। তারা সেখানে পাটপণ্য উৎপাদন করছে। প্রতি মাসে ভাড়া ১৫ লাখ টাকা। এই পাটকলে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। বিজিএমসির কর্মকর্তা ও স্থানীয় পাটকলগুলোয় কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যতগুলো পাটকল ইজারা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে এটিই ভালো চলছে।

জেজেআই জুট মিলের প্রকল্প প্রধান আবুল কালাম জানান, আকিজ গ্রুপ নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করেছে। তারা দৈনিক ৬৫ থেকে ৭০ টনের মতো পণ্য উৎপাদন করছে। বন্ধের আগে সর্বোচ্চ ১৫ টন উৎপাদন হতো।

২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি কার্পেটিং জুট মিল বুঝে নেয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রিগ্যার্ড জুট। তারা ভাড়া দিচ্ছে সাত লাখ এক হাজার টাকা।

বিজেএমসির প্রকল্প প্রধান আহমেদ হোসাইন বলেন, 'পুরাতন যন্ত্রপাতি দিয়েই তারা উৎপাদন চালাচ্ছেন। প্রায় ৫০০ শ্রমিকের মধ্যে ৩৫০ জন নিয়মিত কাজ করছেন। গড়ে ছয় টনের মতো পণ্য উৎপাদন করছেন তারা।'

ইস্টার্ন জুট মিল ইজারা নিয়েছে ভারতের আরেকটি প্রতিষ্ঠান আটলান্টিস জুট। প্রতি মাসে তাদের ভাড়া ১০ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। পাটকলে ৪৫০ থেকে ৫০০ শ্রমিক কাজ করছেন। গড় উৎপাদন হচ্ছে সাত থেকে আট টন পণ্য।

খালিশপুর জুট মিল চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল রেডিয়েন্ট গ্রুপকে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতি মাসে ২৬ লাখ টাকা ভাড়া দেবে তারা।

এই পাটকলের প্রকল্প প্রধান খলিলুর রহমান জানান, তারা উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনটি কারখানার বড়টিতে তারা পণ্য উৎপাদন করবেন।

তারপরও এসব পাটকলে যে পরিমাণ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে, তা নাসিমার মতো শ্রমিকদের জন্য সুযোগ তৈরির জন্য যথেষ্ট নয়।

সরকার কী করছে?

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা মিলগুলোকে বেসরকারি খাতে দেওয়ার চেষ্টা করছি।'

তিনি বলেন, 'আজও (৮ জুলাই) চারটি মিলের সঙ্গে ফাইনাল কথা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো লিজ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটা মিল লিজ নিয়ে কাজ শুরু করেছিল, কিন্তু পরে তারা ছেড়ে চলে গেল। তাদের পোষাচ্ছে না।'

কেন পোষাচ্ছে না বা তারা পাটের বাইরে আরও কোনো পণ্য উৎপাদন করতে চান কি না, এর জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা তাদেরকে পাটের বাইরে অন্য টেক্সটাইল করার সুযোগও দিয়েছিলাম এবং দিচ্ছিও। এই কারখানাগুলোর আকার অনেক বড়। তারা কারখানার অন্য জায়গায় অন্য কিছু করতে পারে। কিন্তু তারপরও অনেকে লিজ বাতিল করছে।'

তিনি আরও বলেন, 'পাটকলগুলো তো রিসোর্স। এই রিসোর্সটা ব্যবহার করতে হবে। এটাই স্বাভাবিক। বিজিএমসির এখানে ১৩ হাজার একর সম্পত্তিসহ মিল কলকারখানা ছিল ও আছে।  এই জায়গাগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এ জায়গাগুলো কোনো না কোনোভাবে ব্যবহার হচ্ছে এবং এটাকে ব্যবহার করতে হবে। ফেলে রাখার সুযোগ নেই।'

'বিজিএমসি বা সরকার এখানে সরাসরি বিনিয়োগ করবে না বা ব্যবসা করবে না। কিন্তু রিসোর্স কাজে না লাগানোর কোনো কারণ নেই,' যোগ করেন তিনি।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি খুলনার দৌলতপুর পাটকল পরিদর্শনে এসে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, 'সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর লিজের শর্ত শিথিল করেছে। এতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে এলে শিল্পগুলো আবার সচল হবে।'

তিনি আরও জানান, দেশের সব পাটকল চালু রাখতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ টন পাটের প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে উৎপাদন হয় মাত্র ১২ লাখ টন এবং বিশ্বে মোট উৎপাদন ২৫ লাখ টন। কাজেই শুধু পাটের ওপর নির্ভর করে এতগুলো মিল চালু রাখা সম্ভব নয়।

'তাই নতুন লিজের আওতায় শুধু পাটজাত পণ্য নয়, অন্যান্য শিল্পও গড়ে তোলার সুযোগ রাখা হয়েছে,' বলেন তিনি।

বিজেএমসির লোকসান অব্যাহত

২০২০ সালের জুন পর্যন্ত পাটকলগুলো পরিচালনা বিজেএমসি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭৭৫ কোটি টাকা লোকসান করে, যা এ পর্যন্ত রেকর্ড সর্বোচ্চ।

পরের অর্থবছরে পাটকল বন্ধ করে শ্রমিকদের ছাঁটাই করার পরেও প্রতিষ্ঠানটি ৪০০ কোটি টাকার বেশি লোকসান করেছে।

পরবর্তী বছরগুলোতেও বিজেএমসির লোকসান অব্যাহত রয়েছে। এই লোকসানের অন্যতম কারণ হলো বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকলগুলো বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের কাছে লিজ দিতে দেরি হওয়া, বিদ্যমান কর্মীদের অন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থায় স্থানান্তরে জটিলতা এবং এর বিশাল সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ।

বিভিন্ন বছরের বাংলাদেশ ইকোনমিক রিভিউ অনুযায়ী, পাটকলগুলো বন্ধ হওয়ার পর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত বিজেএমসির মোট লোকসান এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে।

চলতি অর্থবছরে বিজেএমসির লোকসান ২১০ কোটিরও বেশি হবে বলে সরকার প্রাক্কলন করছে।

পাটকল রক্ষা সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত ই খুদা বলেন, 'আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই—পাটকলগুলো দ্রুত চালু করা হোক এবং অভিজ্ঞ শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হোক। শ্রমিকদেরও সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Consensus commission: Talks snag on women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

1h ago