প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জন করে কুয়েট শিক্ষক সমিতির অবস্থান ধর্মঘট

উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে কুয়েট শিক্ষক সমিতি। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনার বিচার বিলম্বিত হওয়ায় অসন্তোষ জানিয়ে পাঠদানের পর প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জন করেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক সমিতি।

দোষীদের বিচার শেষ না হওয়ায় শিক্ষক সমিতি আজ সোমবার উপাচার্য দপ্তরের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।

শিক্ষকদের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না এবং স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রায় শতাধিক শিক্ষক আজ দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন এবং আগামীকাল থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করবেন বলে ঘোষণা দেন।

এর আগে, গতকাল রোববার শিক্ষক সমিতি সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেয়। শিক্ষকরা গত ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকেও বিরত আছেন।

সমিতির সভাপতি ড. মো. সাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'শিক্ষকরা শারীরিক ও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। আমরা গতকাল ভিসি স্যারকে সময় দিয়েছিলাম আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম শেষ করতে। আমরা আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেখব। পরে শিক্ষকরা যেটা চান সে অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।'

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, 'ফ্রেব্রুয়ারি মাসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুয়েটে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজ শুরু করেছিলেন। এরপর হঠাৎ করে তিনি থেমে যান। আজ সকালে উপাচার্যের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিল। তখন তিনি আমাদের উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু বলতে পারেননি। এটা দুঃখজনক।'

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা শুরুতে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করলেও পরে তা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে পরিণত করে। তাদের আন্দোলনের মুখে সরকার উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। 

এদিকে, শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় গত ৫ মে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় জড়িতদের চিহ্নিত করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক সমিতির দাবির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রশাসন কিছু সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠানো হয়।

কিন্তু, শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে উপাচার্য শৃঙ্খলা কমিটির সভা স্থগিত করেন। উপাচার্যের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Industrial output soars, but where are the jobs?

Over the past decade, more and more industries have sprung up across the country, steadily increasing production. But while output rose, factories did not open their doors to more workers.

11h ago