ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে এফবিসিসিআই ও আইসিসির বৈঠক

ভারত, বাংলাদেশ, বিটুবি, দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, এফবিসিসিআই, ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স, আইসিসি,
এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত আইসিসি প্রতিনিধিদলের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) মধ্যে বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) বৈঠক হয়েছে।

আজ সোমবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত আইসিসির ৪৩ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, 'ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বাণিজ্য অনেক ভালো অবস্থানে আছে এবং দিন দিন দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। যা দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব আরও বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য একটি লাভজনক, টেকসই এবং পরিবেশ-বান্ধব কৃষিব্যবস্থা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কোল্ড চেইন অবকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যা এ খাতের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।'

আইসিসি মহাপরিচালক রাজীভ সিং বলেন, 'ভারতের অনেক দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল আছে, যারা জ্বালানি খাত নিয়ে কাজ করে। তারা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করতে চায়। এ ছাড়াও, বাংলাদেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ভুটান  ও নেপালে উৎপন্ন বিদ্যুৎ পরিবহনের ক্ষেত্রে সঞ্চালন লাইন সরবরাহে কাজ করতে পারে ভারতের ব্যবসায়ীরা। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মসলা ও শাকসবজি উৎপন্ন হয়, যা বাংলাদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে।'

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। আইসিসির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনটির মহাপরিচালক রাজীভ সিং।

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

1h ago