ভারতে আপেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসার আশঙ্কা

ভারতে উৎপাদিত আপেলের ২ শতাংশেরও কম বাংলাদেশ ও নেপালে রপ্তানি হয়।
রপ্তানি, আপেল, নেপাল, ভারত, হিমাচল,
উত্তর কাশ্মীরের সোপোরে ফলের গুদামে পচা আপেল দেখাচ্ছেন একজন শ্রমিক। রয়টার্স ফাইল ফটো

ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় হিমালয় অঞ্চলের প্রায় ১২২ মিলিয়ন ডলারের আপেল নষ্ট হয়েছে। ফলে, চলতি বছর ভারতের আপেল উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আশঙ্ক করা হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পার্বত্য কাশ্মীর অঞ্চল এবং হিমাচল প্রদেশ ভারতের বেশিরভাগ আপেল উৎপাদিত হয় এবং উৎপাদিত আপেলের ২ শতাংশেরও কম বাংলাদেশ ও নেপালে রপ্তানি হয়।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হিমাচলের কেবল ফসলের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের রাস্তা, বিদ্যুৎ লাইন এবং অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সময়ে বৈরী আবহাওয়া ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ফসল ধান উৎপাদনে প্রভাব ফেলেছে, ফলে গত সপ্তাহে চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে দেশটি।

কৃষক ইউনিয়নগুলো জানিয়েছে, ছত্রাকের আক্রমণের পর আপেলসহ অন্যান্য ফল খেতে পচে গেছে।

কৃষক ইউনিয়ন সংযুক্ত কিষান মঞ্চের রাজ্য আহ্বায়ক হরিশ চৌহান বলেন, 'হিমাচল প্রদেশের প্রায় ১০ শতাংশ আপেল বাগান বন্যায় ভেসে গেছে। এটি একটি বড় ক্ষতি, কারণ একটি গাছ ফল দিতে প্রায় ১৫ বছর সময় নেয়।'

অ্যাপল গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া এবং কাশ্মীর ভ্যালি ফ্রুট গ্রোয়ার্স অনুমান করেছে, কাশ্মীরের উত্পাদন এ বছর ৫০ শতাংশ কমবে, যা এক বছর আগে ১.৮৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন ছিল।

আপেল গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবিন্দর চৌহান বলেন, 'এই শীতে যতটা তুষারপাত হওয়া উচিত ছিল, ততটা তুষারপাত না হওয়ায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

১ জুন থেকে শুরু হওয়া বর্ষায় কাশ্মীরে এখন পর্যন্ত গড়ের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে, অন্যদিকে দ্বিতীয় বৃহত্তম উত্পাদনকারী হিমাচল রাজ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

কাশ্মীরের হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট মনে করছে, সামগ্রিক ক্ষতির পরিমাণ ১০৯.৭৮ মিলিয়ন ডলার। হিমাচল প্রদেশে উৎপাদন গত বছরের ৬ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টনের চেয়ে ৪০ শতাংশ কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Comments