ট্রাম্প ট্যারিফ: কোন পথে হাঁটবে জাপান?

জাপান যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য
ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপান। দেশ দুইটির ঘনিষ্ঠতাকে 'হরিহর আত্মা'ও বলা যায়। সেই জাপানে উৎপাদিত পণ্যের ওপর বন্ধু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ যেন 'বিনা মেঘে বজ্রপাত'র মতোই।

এক সময় বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ থেকে বর্তমানে চতুর্থ অর্থনীতির দেশ জাপান আশাই করতে পারেনি পারস্পরিক শুল্কের হার হবে ২৪ শতাংশ। শুধু তাই নয়, জাপানি গাড়ির আমদানির ওপর শুল্ক ১০ গুণ বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দ্য জাপান টাইমস জানায়—আশা করা হয়েছিল যেহেতু ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ জাপানে এসেছিল তাই শুল্ক আরোপের আগে সূর্যোদয়ের দেশটিকে বিবেচনায় রাখা হবে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও জাপান।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাপানে সরাসরি বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ডলার। এর প্রায় ১০ শতাংশ অর্থ জাপান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করা হয়েছে। মার্কিন ঋণের সবচেয়ে বড় গ্রহীতা জাপান।

ধারণা করা হচ্ছে—জাপানের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের সময় বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হয়নি।

এখন প্রশ্ন—জাপান কী করবে? তাহলে কি বিষয়টি রাজনৈতিক? আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনে বিরোধীদলগুলোকে চাঙা করতেই এমন ব্যবস্থা?

জাপানের বিরোধীদলগুলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবাকে খুবই দুর্বল নেতা বলে মনে করছে। তারা আরও শক্তিশালী নেতা চায়। তাদের কেউ কেউ বলছেন, জাপানের উচিত ইউরোপ-কানাডার মতো জোরালো ব্যবস্থা নেওয়া। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তা করা উচিত হবে না।

জাপানের সংকট হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি বাড়িয়ে দিলেই বাণিজ্য ঘাটতি কমবে না। বরং জাপান সব মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক তুলে দিতে পারে। কিন্তু, তাতেই কি সংকট কাটবে?

এখন দেখার বিষয় কোন পথ বেছে নেবে টোকিও।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Myanmar solely responsible for creating favourable conditions for Rohingyas’ return: UN

11 Western countries stress lasting solution hinges on peace and stability in Myanmar

23m ago