বাংলাদেশকে পুরো ঋণ পরিশোধ করল শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কা, শ্রীলঙ্কার ঋণ, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট, বাংলাদেশ ব্যাংক,
ছবি: সংগৃহীত

দুই বছর আগে মুদ্রা বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের পুরোটাই পরিশোধ করেছে শ্রীলঙ্কা।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা শেষ কিস্তির ৫০ মিলিয়ন ডলার ও ঋণের সুদ বাবদ ৪.৫ মিলিয়ন ডলার বৃহস্পতিবার রাতে পরিশোধ করেছে। আমরা শুক্রবার সকালে বিষয়টি জেনেছি।

শ্রীলঙ্কা এমন সময়ে ঋণ পরিশোধ করল, যখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে, ফলে রিজার্ভ কমছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২১.৪৫ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফেরত দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তার আগে ১৭ আগস্ট প্রথম কিস্তিতে ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল দেশটি।

মুদ্রা বিনিময় চুক্তির সময় শ্রীলঙ্কাকে তিন মাসের মধ্যে লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট + ২ শতাংশ সুদ হারসহ ঋণ পরিশোধের কথা ছিল।

লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট আন্তঃব্যাংক বাজারে স্বল্পমেয়াদী ঋণের গ্লোবাল রেফারেন্স রেট এবং চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদী সুদের হারের বেঞ্চমার্ক হিসেবে কাজ করেছে। পরে লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেটের জায়গায় সিকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সিং রেট কাজ করে।

বাংলাদেশ ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কাকে তিন কিস্তিতে এই ঋণ দিয়েছিল। ওই বছরের ১৯ আগস্ট প্রথম কিস্তিতে ৫০ মিলিয়ন ডলার, এর ১১ দিন পর দ্বিতীয় কিস্তিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং সেপ্টেম্বরে আরও ৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল। এটি ছিল কোনো দেশকে দেওয়া বাংলাদেশের প্রথম ঋণ।

তবে, সংকটে থাকা দেশটির অর্থনীতি যখন পুনরুদ্ধার হচ্ছে ঠিক তখনই তারা ঋণ পরিশোধ করল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতায় শ্রীলঙ্কা একটি দারুণ উদাহরণ হতে পারে। কারণ দেশটি এখন তাদের সংকটময় পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

মাত্র এক বছর আগে শ্রীলঙ্কা তাদের ইতিহাসে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল এবং গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

কিন্তু, চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি হয় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, যা জুনের ১২ শতাংশের চেয় বেশ কম।

 

Comments

The Daily Star  | English

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

6h ago