জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করেছেন: ক্যাব সহসভাপতি

জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্যবসায়ীরা কৌশলে সরকারকে তাদের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য করছেন।

তিনি বলেন, অনেক বিষয়ে সংস্কারের উদ্যেগ নেওয়া হলেও বাজার ব্যবস্থা সংস্কারে কোনো উদ্যোগ সরকার এখন পর্যন্ত নেয়নি। এর মানে হলো সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারের আগ্রহ নেই।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বেড়েছে। ফলে এখন থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৮৯ টাকায়। এত দিন যা ছিল ১৭৫ টাকা।

অন্যদিকে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬৯ টাকা। খোলা পাম তেলও লিটার প্রতি ১৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা।

এছাড়া, বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা; আগে যা ছিল ৮৫২ টাকা।

নাজের বলেন, 'সয়াবিন তেলের নতুন দাম ঘোষণায় বাণিজ্য উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক বাজার ও ট্যারিফ কমিশনের ফর্মুলারভিত্তিতে সয়াবিন তেলের দাম পুনঃনির্ধারণ করার কথা বললেও বেশ কয়েক মাস ধরেই আর্ন্তজাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম নিম্নমুখী।'

'সরকারকে বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করে ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়িয়েছেন,' বলেন তিনি।

নাজের আরও বলেন, 'এবার সরকারের সঙ্গে আলোচনার আগেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারপর সরকারকে চাপে ফেলে সেই দাবি তারা আদায় করেছেন। কিন্তু এই বিষয়ে সরকার কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।'
 
ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর জন্য বারবারই অনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেন উল্লেখ করেন তিনি বলেন, 'যখনই দাম বাড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে, তখন তারা সরবরাহ কমিয়ে দেন।'

তিনি মনে করেন, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যকে করের আওতা বর্হিভূত করা দরকার।

'অন্তর্বর্তী সরকারকে শুল্ক ও করনীতির পুনর্মূল্যায়ন করে, যেসব পণ্যের দাম বাড়ালে দরিদ্র ভোক্তাদের ওপর বেশি চাপ পড়ে, সেসব পণ্য শুল্ক-কর আওতামুক্ত রাখতে হবে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Shahjalal International Airport Terminal-3

Shahjalal International Airport Terminal-3: Operations face further delay

The launch of Dhaka airport’s third terminal faces a further delay, as the Civil Aviation Authority of Bangladesh (CAAB) is still negotiating an operation and maintenance agreement -- a prerequisite for starting services -- with a Japanese consortium.

11h ago