আইসিটি

বাংলালিংকের ২০১২ টাওয়ারের মালিকানা নিলো সামিট

এই চুক্তির মাধ্যমে সামিট কমিউনিকেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট টাওয়ার্স বাংলালিংকের ২ হাজার ১২টি টাওয়ারের মালিকানা অর্জন করলো।
ভিওন লিমিটেড, বাংলালিংক, সামিট টাওয়ার্স লিমিটেড, সামিট কমিউনিকেশনস,

বাংলালিংকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ভিওন লিমিটেড গতকাল ঘোষণা দিয়েছে, তাদের মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি বাংলালিংক বাংলাদেশের কিছু টাওয়ার প্রায় ১১০০ কোটি টাকা বা ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে সামিট টাওয়ার্স লিমিটেডের কাছে বিক্রির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

এই চুক্তির মাধ্যমে সামিট কমিউনিকেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট টাওয়ার্স বাংলালিংকের ২ হাজার ১২টি টাওয়ারের মালিকানা অর্জন করলো।

এর আগে, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ভিওন গত বছরের ১৫ নভেম্বর প্রথম টাওয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সব অনুমোদন পাওয়ার পর ডিসেম্বরে টাওয়ারগুলো বৈধভাবে হস্তান্তর করা হবে।

উভয়পক্ষের মধ্যে মাস্টার টাওয়ার চুক্তির শর্তানুযায়ী, বাংলালিংক প্রাথমিকভাবে ১২ বছরের জন্য টাওয়ার অবকাঠামো সেবা পাবে। অবশ্য এই সময়কাল বাড়ানোর সম্ভাবনা আছে।

ভিওনের গ্রুপ সিইও কান তেরজিওগলু বলেন, 'এই বিক্রি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক, কারণ ভিওনকে একটি অ্যাসেট-লাইট ডিজিটাল অপারেটরে পরিণতে করতে আমাদের কৌশল সফলভাবে প্রয়োগ করে যাচ্ছি।'

'এটি বাংলাদেশে আমাদের অবকাঠামো সম্পদের মূল্য নির্ধারণে প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, ফলে বাংলালিংক গ্রাহকদের স্থানীয়ভাবে ডিজিটাল সেবা প্রদানে ডিজিটাল অপারেটর হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করতে সক্ষম হবে।'

বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী এরিক অস বলেন, গত দেড় বছরে বাংলালিংক সবার জন্য বিস্তৃত ফোরজি সুবিধাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সফলভাবে নেটওয়ার্ক সক্ষমতা দ্বিগুণ করেছে এবং দেশব্যাপী সেবা বাড়িয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই কৌশলগত সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশের জনগণকে দেওয়া সেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সামিট টাওয়ারের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা অ্যাসেট-লাইট কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অবকাঠামো সম্পদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।'

সামিট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড সামিট টাওয়ারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফরিদ খান বলেন, 'পারস্পরিক সম্মতির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সফলভাবে চুক্তি চূড়ান্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই চুক্তির মাধ্যমে টাওয়ারগুলোর মালিকানা অধিগ্রহণে বাংলাদেশের বাজারে আমাদের সাড়ে চার হাজার টাওয়ার হলো।'

Comments