প্রথমবার গ্রাউন্ড স্টাফদের জন্য বডি ক্যামেরা কিনছে বিমান

এয়ারবাস উড়োজাহাজ কিনতে বিমানের ইউ-টার্ন

রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রথমবারের মতো গ্রাউন্ড স্টাফদের জন্য বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরে লাগেজ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি ও যাত্রীদের হয়রানি নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে এই উদ্যোগ নিয়েছে বিমান।

এছাড়া, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনালে বিশ্বমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা নিশ্চিত করতে বড়ি-ওয়ার্ন ক্যামেরাসহ ১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৩ হাজার ৬০০ সরঞ্জাম কিনবে বিমান।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শফিউল আজিম আজ বিমানবন্দরে বিভিন্ন গ্রাউন্ড ইকুইপমেন্ট এবং নতুন গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম চালুর সময় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বডি ক্যামেরা চালুর বিষয়ে বিমানের প্রধান বলেন, 'আমরা বিমানের গ্রাউন্ড স্টাফদের কার্যক্রমের প্রতি মিলিসেকেন্ড রেকর্ড করতে পারব।'

তিনি বলেন, 'কোনো যাত্রী যদি লাগেজ হারিয়ে যাওয়া বা লাগেজ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি বা হয়রানির  কোনো অভিযোগ দায়ের করেন, তাহলে আমরা তাদের লাগেজ চলাচল ও অন্যান্য কার্যক্রমের প্রতি মিলিসেকেন্ড দেখাতে পারব।'

গ্রাউন্ড স্টাফদের বডি ক্যামেরার কাজে হেরফের করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা যাত্রীদের লাগেজের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই, যাত্রীদের আস্থা অর্জনের জন্য আমরা এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।'

প্রথম ধাপে জাপান থেকে ১০৫টি বডি ক্যামেরা কেনা হবে।

বিমানের নিরাপত্তা সহকারী সিরাজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্রাউন্ড স্টাফদের ব্যাগেজ লোড এবং আনলোড করতে একটি উড়োজাহাজের কার্গো হোল্ডের ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। সংবেদনশীল এলাকায় তাদের কার্যক্রমের ওপর সম্পূর্ণ মনিটরিং নিশ্চিত করবে বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা।'

শাহজালাল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড স্টাফদের বিরুদ্ধে যাত্রীদের লাগেজ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত বা চুরি অনেক অভিযোগ আছে।

তিনি বলেন, এখন থেকে বিমানের কর্মীরা বডি ক্যামেরা পরে দায়িত্ব পালন করবেন এবং দায়িত্ব পালনকালে কেউ ক্যামেরা বন্ধ করতে পারবেন না। একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল ক্যামেরাগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বর্তমানে বিমান প্রতিদিন ১৬০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

তিনি জানান, ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ হাজার ৬০০ সরঞ্জাম কেনার পর ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৪০টি ফ্লাইটে সর্বোত্তম মানের নিরবচ্ছিন্ন গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিতে পারবে বিমান।

ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিয়ে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা আয় করে বিমান।

বিমান প্রধান বলেন, ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ সরঞ্জাম বিমানে যুক্ত হয়েছে এবং বাকিগুলো আগামী তিন মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

US officials preparing for possible strike on Iran in coming days, Bloomberg reports

Iran and Israel continue to attack each other on Wednesday night, as Donald Trump weighs US involvement

10h ago