আশুলিয়ায় খুলেছে অধিকাংশ পোশাক কারখানা, চলছে আন্দোলনও

বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা। ছবি: সংগৃহীত

আশুলিয়ায় অধিকাংশ পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও এর মধ্যে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছেন বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশের একটি সূত্র।

অপরদিকে বকেয়া বেতনসহ পাওনা আদায়ে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা। তারা আজও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে নবীনগর থেক জীরানী এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে বিপিএটিসি পর্যন্ত অন্তত ১৫ কিলোমিটার যানজট দেখা দিয়েছে। দুই মহাসড়কে অবরোধের কারণে সাভারের প্রায় সবগুলো রাস্তায় যানজট তৈরি হয়েছে।

ঢাকা উত্তর ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) হোসেন শহীদ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শ্রমিকরা গতকাল থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে বাইপাইল এলাকায় অবরোধ করে বসে আছেন৷ একারণে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক দুটি বন্ধ থাকায় আশপাশের সড়কগুলোও স্থবির হয়ে পড়েছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা এখনো সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। তারা বলছেন, তাদের পাওনা পরিশোধ না করা হলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করবে না। মালিকপক্ষের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগাযোগ করছেন।

পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। ছবি: স্টার

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিল্প পুলিশের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শিল্পাঞ্চলের কাঠগড়া এলাকায় এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড ছাড়া সব কারখানা চালু রয়েছে। এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড সবেতন ছুটি দিয়েছে। টঙ্গাবাড়ি এলাকায় ম্যাংগো টেক্স লিমিটেড সবেতন ছুটিতে রয়েছে। ওই অঞ্চলের মন্ডল নিটওয়্যার, ন্যাচারাল ডেনিম, ন্যাচারাল ইন্ডিগোসহ অন্য সব কারখানা চালু রয়েছে। জামগড়া, নরসিংহপুর এলাকায় সেতারা অ্যাপারেলস বন্ধ আছে। বাকি সব কারখানা খোলা রয়েছে। অন্যদিকে বাইপাইল এলাকায় স্কাইলাইন কারখানা সবেতনে ছুটি রয়েছে তবে চালু আছে অন্য সব কারখানা।

আর্থিক সংকট ও কার্যাদেশ না থাকার কথা উল্লেখ করে ২৮ আগস্ট থেকে বার্ডস গ্রুপের আর এন আর ফ্যাশনস লি., বার্ডস গার্মেন্টস লি., বার্ডস ফেডরেক্স লি. এবং বার্ডস এ এন্ড জেড লি. এর সব সেকশনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বার্ডস গ্রুপ তাদের কারখানা বন্ধ ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে বিজিএমইএ, শ্রমিকসহ সকল পক্ষের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল গ্রুপটির শ্রমিকদের যাবতীয় আইনগত পাওনা পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা তা করেনি।

জানতে চাইলে বিজিএমইএয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হীল রাকিব বলেন, বার্ডসের মালিকপক্ষকে গতকালই শ্রমিকদের কাছে গিয়ে পাওনা পরিশোধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা যাননি। বার্ডসের মালিক ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার ছেলে-মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। কিন্তু তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

2h ago