লাইটার জাহাজে পণ্য পরিবহন নতুন নীতিমালা ৬ মাসের জন্য স্থগিত

নৌপথে পণ্য পরিবহন নীতিমালা
ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

সমুদ্রবন্দরে বড় জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে করে অভ্যন্তরীণ নৌপথে আমদানি পণ্য পরিবহনে সম্প্রতি প্রণীত নীতিমালার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফাতেমা নাজিব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ১১টি  লাইটার জাহাজের প্রতিষ্ঠানের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

এছাড়া এই নীতিমালা ও নীতিমালার আলোকে গঠিত বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেলের (বিডব্লিউটিসিসি) স্থাপনা ও কার্যক্রম অব্যাহত রাখা আইন মেনে করা হয়েছে কি না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সামিউল হক বলেন, রুলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট বেঞ্চ নীতিমালার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।

নৌপরিবহন সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের উত্তর দিতে বলা হয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে তাদের রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।

মোহাম্মদ সামিউল হক বলেন, রিট আবেদনে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর প্রাসঙ্গিক বিধান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন-২০২২, বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০২২ এবং ২০২২ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া রায় লঙ্ঘন করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, রিটে বিডব্লিউটিসিসির কর্মকাণ্ডের বৈধতা নিয়েও চ্যালেঞ্জ করা হয়।

এর আগে, লাইটার জাহাজ পরিচালনার জন্য নতুন বেসরকারি প্লাটফর্ম বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি) থেকে সিরিয়াল ও বরাদ্দ নেওয়া বাধ্যতামূলক করে গত ১৫ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এরপর গত ৭ নভেম্বর এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

তবে, আমদানিকারক ও জাহাজ মালিকদের একটি অংশের তীব্র বিরোধিতার কারণে নীতিটি তাত্ক্ষণিকভাবে কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। কারণ তারা অভিযোগ তুলেছিল, জাহাজের সিরিয়াল ও ভাড়ার ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিরোধের জেরে চলতি মাসের শুরুতে লাইটার জাহাজ মালিকদের তিনটি পরস্পর বিবাদমান সংগঠন সমঝোতা করে এবং নবগঠিত বিডব্লিউটিসিসির অধীনে সম্মিলিতভাবে কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে সম্মত হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Prof Yunus in Time magazine's 100 list 2025

Prof Yunus named among Time’s 100 Most Influential People of 2025

A tribute article on Prof Yunus was written by Hillary Clinton for the magazine

2h ago