দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিষয়ে জানতে চায় বিশ্বব্যাংক

World Bank logo

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি বিষয়ে জানতে চেয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার আগে বিশ্বব্যাংক এসব তথ্য জানতে চেয়েছে।

সংস্থাটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল গতকাল সোমবার ঢাকায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, 'বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আমরা কী ভাবছি, রিজার্ভ বাড়বে নাকি কমবে তা তারা জানতে চেয়েছিলেন। তারা সামষ্টিক অর্থনীতির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কেও জানতে চান।'

তিনি আরও বলেন, 'রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার কারণ ও বাংলাদেশ কীভাবে তা বাড়াতে পারে তাও জানতে চেয়েছিল প্রতিনিধি দল।'

বিশ্বব্যাংক মূল্যস্ফীতির বর্তমান অবস্থা ও তা নিয়ন্ত্রণে গৃহীত উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন শামসুল আলম।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তবে আমাদের অবস্থা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো। বিশ্ববাজারের তুলনায় আমাদের মূল্যস্ফীতি ততটা বাড়েনি।'

'এফএও'র (খাদ্য ও কৃষি সংস্থা) তথ্য অনুসারে, খাদ্যপণ্যের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের সরকার যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমদানি কমিয়েছি,' যোগ করেন তিনি।

তার মতে, 'চলতি হিসাবের ঘাটতি ও ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ঘাটতি রিজার্ভের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা বাড়াচ্ছে।'

'তবে জুলাই থেকে আমাদের সার্বিক অবস্থা ভালো। জুলাই থেকে গত ২ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। আমদানি বেড়েছে ২৩ শতাংশ।'

'অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে' উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা গত ২ মাসে প্রতি মাসেই ২ বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স পেয়েছি। সাম্প্রতিককালে কোনো মাসে আমাদের একসঙ্গে ২ বিলিয়ন ডলার আসেনি।'

তিনি জানান, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে যে, প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে আগামী বছরের ২৫ জুনের মধ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার বাড়বে।

প্রতিমন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে বলেন, 'রপ্তানি বাড়ছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে এবং আমরা আমদানি ব্যয় ব্যাপকভাবে কমাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে এখন অনুকূলে আছে।'

বৈঠকের প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিশ্বব্যাংককে জানানো হয়েছে যে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই কয়েকবার স্থানীয় টাকার মান কমিয়েছে।

'এখন আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল,' বলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

7h ago