চলতি সপ্তাহে ১.০৯ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ, কমবে রিজার্ভ

ডিজিটাল ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক,

বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করবে। ফলে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার কমবে।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক দু'একদিনের মধ্যে এই আমদানি বিল নিষ্পত্তি করবে।

আঞ্চলিক দেশগুলোর লেনদেনের নিষ্পত্তির একটি মাধ্যম হলো এসিইউ। তেহরানভিত্তিক এই সংস্থার সদস্য দেশ হলো- ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। সদস্য দেশগুলো প্রতি ২ মাসে অর্থ পরিশোধ করেন।

আকু পেমেন্ট করার পর সাধারণত ফরেক্স রিজার্ভ  কমে যায়। এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরের মে মাসে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুন বাংলাদেশের রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারে। যা আগের বছরের একই দিনে ছিল ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু, চলতি সপ্তাহে আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামতে পারে।

গত ২৬ জুন বিশ্বব্যাংকসহ তিনটি আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে ৯২ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দেওয়ার পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এ ছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেশি রেমিট্যান্স আসায় তা জুনে রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।

সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে প্রবাসীরা ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। যা, এক বছর আগে পাঠানো ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। গত মাসে প্রায় ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আস, যা ২০২১ সালের জুলাইয়ের পর এক মাসে সর্বোচ্চ।

২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। তবে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বেশি পরিমাণ আমদানি বিল পরিশোধ করতে হয়। এতে রিজার্ভ কমতে থাকে।

সম্প্রতি অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশি কিছু উদ্যোগ নেওয়ার পর আমদানি কমেছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের মধ্যে আমদানি বিল বাবদ পরিশোধ হয়েছে ৬৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪.১১ শতাংশ কম।

Comments

The Daily Star  | English

Once a lifeline, Labondaho now a curse

Abdul Aziz once harvested rice in abundance from his fields next to Labondaho, once a picturesque river located in Indrapur, Gazipur’s Sreepur. Today, he stands on cracked earth, nursing losses and lamenting poisoned waters.

14h ago