৩৪২ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইলিশের দ্বিতীয় প্রজননক্ষেত্র

প্রজননস্থলের ওপরের অংশটি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বগি বন্দর ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা সংলগ্ন ভাইজোড়া এলাকা নিয়ে গঠিত।
ইলিশের প্রজননক্ষেত্র
বরিশালের একটি বাজারে ইলিশ। ছবি: টিটু দাস/স্টার ফাইল ফটো

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলিশের দ্বিতীয় প্রজনন ক্ষেত্র ঘোষণার পাশাপাশি সেখানে প্রজননকালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার বোলেশ্বর নদীসহ ৩৪২ দশমিক ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে নতুন এই প্রজননক্ষেত্র ৩টি নদী নিয়ে বিস্তৃত।

গতকাল রোববার প্রকাশিত মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, প্রজননস্থলের ওপরের অংশটি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বগি বন্দর ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা সংলগ্ন ভাইজোড়া এলাকা নিয়ে গঠিত।

প্রজননস্থলের মাঝখানে বাগেরহাটের শরণখোলার সুপতি (কোস্টগার্ড স্টেশন) ও বরগুনার পাথরঘাটার রুহিতা রয়েছে।

প্রজননভূমির নিচের অংশ হচ্ছে—বাগেরহাটের শরণখোলার পোকখির চর সংলগ্ন পয়েন্ট ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লতাচাপলী ইউনিয়নের লেবুর বাগান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এসব জেলারে ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বলেশ্বর নদী দিয়ে সাগর থেকে ইলিশ আসে। এ কারণে মাছের উৎপাদন বাড়াতে এলাকাটিকে প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মায়ানী পয়েন্ট, ভোলার পশ্চিম সৈয়দ আউলিয়া পয়েন্ট এবং উত্তর কুতুবদিয়া, কক্সবাজার ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লতা চাপাতি পয়েন্টসহ প্রায় ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ইলিশ আহরণের ক্ষেত্র ঘোষণা করে সরকার।

সে অনুযায়ী মাছের উৎপাদন বাড়াতে সাধারণত অক্টোবরে প্রজননের সময় ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বিজ্ঞপ্তি জারি থেকে ২ মাসের মধ্যে যে কোনো ব্যক্তি এ ব্যাপারে তার মতামত বা আপত্তি জানাতে পারবেন।

মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুসারে, গত কয়েক বছর ধরে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা ইলিশের উৎপাদন ২০২১-২২ অর্থবছরে আগের বছরের ৫ লাখ ৬৫ হাজার টন থেকে সামান্য বেড়ে ৫ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Khagrachhari violence: 3 dead, 4 sent to CMCH 'with bullet wounds'

Three indigenous people died of their injuries at a hospital in Khagrachhari yesterday and early today, hours after arson attacks and violence in the district

1h ago