বাংলাদেশের নিট রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে: জাহিদ হোসেন

জাহিদ হোসেন বলেন, প্রতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংককে ১০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে। এটা যদি চলতে থাকে, তাহলে এক জায়গায় গিয়ে রিজার্ভ ফুরিয়ে যাবে। তখন এলার্মিং পর্যায় আসবে।
বিশ্বব্যাংক, রিজার্ভ, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন, আইএমএফ,
রাজধানীর গুলশান ক্লাবে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলন। ছবি: মো. আসাদুজ্জামান/স্টার

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায় বাদ দেওয়া হলে বাংলাদেশের নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

আজ রাজধানীর গুলশান ক্লাবে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ফর্মুলা অনুযায়ী মোট যে রিজার্ভ তা এখন বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত রিপোর্ট করছে। সেটা এখন প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু, সেখান থেকে আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের যে দায়গুলো আছে সেগুলো বাদ দিতে হয়। আইএমএফ যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সেটা হলো নিট বেসিসে। ওই নিট রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়নের মতো বা তার একটু নিচে চলে এসেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এটাকে আমি এলার্মিং পর্যায়ে বলব না, কিন্তু উদ্বেগের পর্যায়ে গেছে। কারণ যে স্বস্তিটা এতোদিন ছিল, সেটা এখন আর নেই। তার বড় কারণ হচ্ছে প্রতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংককে ১০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে। এটা যদি চলতে থাকে, তাহলে এক জায়গায় গিয়ে রিজার্ভ ফুরিয়ে যাবে। তখন এলার্মিং পর্যায় আসবে।'

'তখন একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কারণ এতো কম রিজার্ভ হলে মুদ্রা বিনিময় হারকে যেভাবে এখন চেপে রেখেছি তখন আর চেপে রাখা যাবে না। কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাবে,' যোগ করেন তিনি।

জাহিদ হোসেন বলেন, 'রিজার্ভ স্বস্তিকর অবস্থায় থাকার সময় মুদ্রা বিনিময় হারকে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হলে বাজারো বড় কোনো অস্থিরতা দেখা গেলে হস্তক্ষেপ করার মতো অস্ত্র হাতে থাকে। ওই অস্ত্র যখন থাকবে না তখন না চাইলেও বাজারের ওপর চলে যাবে। তখন আবার ওটাকে স্থিতিশীল করার মতো কোনো অস্ত্র থাকবে না।' 

আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কে ভার্মা।

Comments