এলসি সীমা বাড়ানোর দাবি টেক্সটাইল মিল মালিকদের

এলসি সীমা বাড়ানোর দাবি টেক্সটাইল মিল মালিকদের

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন টেক্সটাইল মিলাররা। যেন তারা আরও কাঁচামাল আমদানি করতে পারেন।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) গত সপ্তাহে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠিয়েছে।

এলসি সীমা বৃদ্ধিতে সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট সীমা অতিক্রম করলেও তা অনুমোদন করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

চলমান মন্দা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিটিএমএ তাদের মেয়াদী ঋণের কিস্তির ২০ শতাংশ পরিশোধের অনুমোদন দেওয়া এবং বাকি অর্থ মেয়াদ শেষ হওয়ার চার বছরের মধ্যে পরিশোধ করার সুযোগ চেয়েছে।

তারা রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের ডলারের সমহার দাম বা ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারিত না রেখে উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি দাবি জানিয়েছে।

এছাড়া করোনার সময় দেওয়া প্রণোদনা ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোরও (প্রচলিত ব্যাংক সুদহারে) দাবি জানিয়েছেন টেক্সটাইল মিল মালিকরা।

চিঠিতে বিটিএমএ'র সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ, অস্থিতিশীল ডলার বাজার ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে টেক্সটাইল ব্যবসা উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পড়েছে। জ্বালানি ও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিতে এই সংকট আরও বেড়েছে।

চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, এই পরিস্থিতি এমন এক সময়ে দেখা দিয়েছে, এই খাত করোনা মহামারি ও যুদ্ধের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে লড়াই করছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, অনেক প্রতিষ্ঠান কোনো লাভ ছাড়া ব্যবসা চালু রেখেছে, আবার অনেকে লোকসানের মুখে পড়ছে। একইসঙ্গে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এছাড়া গত দুই বছরে স্থানীয় মুদ্রার প্রায় ৪০ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে।

ফলে, প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে যে এলসি (নন-ফান্ডেড) লিমিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বেতন ও মজুরি দেওয়া এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago