এমএফএসের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে পিছিয়ে নারী

গতকাল প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এমএফএস অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের ব্যবধান ৩৫ দশমিক ৪২ পারেসেন্টেজ পয়েন্ট।

গত এক দশকে বাংলাদেশে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) সম্প্রসারণ হলেও এই সেবা খাতে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের চেয়ে এখনো পিছিয়ে আছে।

গতকাল প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এমএফএস অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের ব্যবধান ৩৫ দশমিক ৪২ পারেসেন্টেজ পয়েন্ট।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আয়েশা বানুর নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে ৮২ দশমিক ৫৮ শতাংশ পুরুষের এমএফএস অ্যাকাউন্ট আছে, যেখানে নারীদের অ্যাকাউন্ট আছে ৪৭ দশমিক ১৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক লায়লা রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিআরডি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোখলেসুর রহমান যৌথভাবে এই গবেষণাটি উপস্থাপন করেন।

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত এই গবেষণায় ৫৬টি জেলার ৭ হাজার ৫৬০ জনের ওপর জরিপ চালানো হয়।

এতে দেখা গেছে ব্যাংকিং খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রেও নারীরা পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে আছে। ৩০ দশমিক ৪৭ শতাংশ নারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে, পুরুষের আছে ৪৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

তবে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে (এমএফআই) অ্যাকাউন্ট থাকার ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের চেয়ে অনেক এগিয়ে। প্রায় ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ নারীর এমএফআই অ্যাকাউন্ট আছে, পুরুষের আছে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, সার্বিকভাবে বাংলাদেশে এই বৈষম্য ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ পয়েন্ট।

(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন: Women far behind men in financial inclusion thru MFS)

Comments