কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় বাংলাদেশের রেটিং কমিয়েছে এসঅ্যান্ডপি

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি সার্বভৌম রেটিং ডবল বি মাইনাস থেকে কমিয়ে বি প্লাস করেছে।
এসঅ্যান্ডপি

দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ওপর ক্রমাগত চাপ ও কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশের রেটিং কমিয়েছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি সার্বভৌম রেটিং ডবল বি মাইনাস থেকে কমিয়ে বি প্লাস করেছে।

বিশেষ করে রিজার্ভ ক্রমাগত কমতে থাকায় বাড়তি চাপ দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি কমানোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আমদানি পণ্যের দাম পরিশোধে সামান্য ঘাটতি সত্ত্বেও দেশের রেটিং কমেছে।

এসঅ্যান্ডপির ভাষ্য, বাংলাদেশে যে পরিমাণ ডলার আসছে এবং রিজার্ভ যা আছে তার চেয়ে বেশি ডলার প্রয়োজন।

তবে রেটিং এজেন্সি সামগ্রিক অবস্থাকে স্থিতিশীল রেখেছে।

সরকারি চাকরির কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশে কমপক্ষে ১৬৩ জন নিহত হয়েছেন। বেশকিছু সরকারি সম্পত্তিতে ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার দেশে কারফিউ জারি করে।

বর্তমানে কারফিউ কিছুটা শিথিল করা হলেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এসঅ্যান্ডপি বলেছে, 'শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ব্যাপক বিক্ষোভে বাংলাদেশ জর্জরিত। এতে ২০০ জনেরও বেশি মারা গেছেন বলে জানা গেছে।'

প্রতিষ্ঠানটির মতে, বাংলাদেশের 'অত্যন্ত সংঘাতময়' রাজনৈতিক পরিবেশ প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।

তাদের মতে, গত জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সেই নির্বাচন বর্জন করে। প্রভাবশালী এই দুই দলের মধ্যে মতাদর্শগত পার্থক্য অনেক।

বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমাগত কমছে। অবকাঠামোগত সংকট ও আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতার কারণে এমনটি হতে পারে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

Comments