মেয়ের মুখ প্রকাশ্যে আনলেন আতিফ আসলাম

ছবিতে আতিফ আসলামের মেয়েকে রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের মেয়ে রাহার মতো দেখাচ্ছিল! এই বিষয়টি সবার নজর কেড়েছে।
আতিফ আসলাম, বলিউড, ইনস্টাগ্রাম, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট,
মুহূর্তে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

বলিউডের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আতিফ আসলাম ইনস্টাগ্রামে প্রথমবারের মতো তার মেয়ে হালিমার ছবি পোস্ট করেছেন। মুহূর্তে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তারপর ভক্তরা সেখানে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন।

ছবিতে আতিফ আসলাম ও তার মেয়েকে বেশ সুন্দর লাগছিল। বাবা ও মেয়ে দুজনেই সাদা পোশাক পরেছিল। গত ২৩ মার্চ ছিল হালিমার প্রথম জন্মদিন। একটি ছবিতে আতিফকে তার মেয়েকে কোলে নিয়ে থাকতে দেখা যায়। ভক্তরা বাবা ও মেয়ের ছবি 'ওয়াও' ইমোজিতে ভরিয়ে দেন। তবে, অবাক করার বিষয় হলো- ছবিতে আতিফ আসলামের মেয়েকে রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের মেয়ে রাহার মতো দেখাচ্ছিল! এই বিষয়টি সবার নজর কেড়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে একজন ছবিতে কমেন্ট করেছেন, 'বাহ! বাবা ও মেয়েকে দারুণ লাগছে।' আরেকজন লিখেছেন, 'তার চেহারা হুবহু রাহার মতো, মনে হচ্ছে সে রাহাকে নকল করেছে। চুলের স্টাইল, পোশাকের রঙ... হুবহু এক।'

একজন লিখেছেন, 'ও আরাধ্য, ওকে খুব সুন্দর লাগছে!'

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Atif Aslam (@atifaslam)

২০১৩ সালে গাঁটছড়া বাঁধা আতিফ ও সারা ভারওয়ানা হালিমার আগে আবদুল আহাদ ও আরিয়ান আসলাম নামে দুই পুত্র সন্তান আছে। ২০১৪ সালে আতিফ ও সারা ভারওয়ানার কোলে আসে আবদুল আহাদ। এরপর ২০১৯ সালে তাদের ঘরে আসে দ্বিতীয় পুত্র আরিয়ান। সামাজিক মাধ্যমে প্রায়ই তাদের দুই ছেলের ছবি ভাইরাল হয়।

আতিফ আসলামের বিখ্যাত বলিউড গানগুলোর মধ্যে আছে- লায়লা মজনু থেকে ও মেরি লায়লা, কলিযুগ থেকে আদাত, টাইগার জিন্দা হে থেকে দিল দিয়া গালিয়া, আজব প্রেম কি গজব কাহানি থেকে তু জানে না, বাস এক পাল থেকে তেরে বিন, ফ্লাইং জাট থেকে টুটা জো কাভি তারা, এবং জেহের থেকে ওহ লামহে ওহ বাতে। এছাড়াও বলিউডের অসংখ্য জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আতিফ আসলাম।

আতিফ আসলাম সম্প্রতি সঙ্গীত শিল্পে অটো-টিউনারদের নির্ভরতা নিয়ে কথা বলেছেন। কীভাবে গায়করা রাতারাতি সাফল্য পেতে এটি ব্যবহার করছেন তা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। সুফিস্কোরকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে আতিফ স্বীকার করেছেন, অনেক বছর ধরে অটো-টিউনারের ব্যবহার চলে আসছে। এখন গায়করা এটি থেকে বেশি সুবিধা নিচ্ছেন। কারণ তারা দ্রুত সাফল্য অর্জনের জন্য এটির ওপর নির্ভরশীল। একইসঙ্গে তারা তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে চান না।

আতিফ বলেন, 'ব্যাপারটা এমন নয় যে, আমাদের সময় অটোটিউনার ছিল না। আমাদের সময়েও ছিল। কিন্তু এখন সবাই রাতারাতি সাফল্য চায়, কেউ পরিশ্রম করতে চায় না। কিন্তু সাফল্য পেতে গেলে কঠোর পরিশ্রম করা দরকার। আর এভাবে জনপ্রিয়তা পাওয়া বা সফলতা পাওয়ার স্থায়ীত্ব কম। তবুও রাতারাতি সাফল্য অর্জনে এটি একটি বড় অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল, গায়করা বিখ্যাত হতে চায়, খ্যাতি চায়, কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করতে চায় না।'

Comments