শাহরুখের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা, যে রায় দিলো ট্রাইব্যুনাল

বড় একটি করের মামলায় জিতেছেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। ভারতের আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনাল (আইটিএটি) ওই মামলায় তার তার পক্ষে রায় দিয়েছে। একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ও ২০১১-২০১২ অর্থবছরের জন্য কর কর্তৃপক্ষের জারি করা আদেশ বাতিল করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইটিএটি বলিউড সুপারস্টারের কর পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়া বাতিল করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়কর রিটার্ন সম্পর্কিত একটি সমস্যাকে সামনে এনে কর কর্মকর্তা শাহরুখ খানের ৮৩ন কোটি ৪২ লাখ রুপির আয়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্যে প্রদত্ত করের ওপর বিদেশি কর ক্রেডিটের জন্য শাহরুখের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এতে কর কর্মকর্তা শাহরুখের আয়ের ৮৪ কোটি ১৭ লাখ রুপির বেশি পুনর্মূল্যায়নের আদেশ জারি করেছিলেন। এই পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত ২০১২-১৩ অর্থবছর শেষ হওয়ার চার বছরেরও বেশি সময় পর নেওয়া হয়েছিল।
তবে আইটিএটি বেঞ্চ রায় দিয়েছে, আয়কর বিভাগের মামলার পুনর্মূল্যায়নের বিষয়টি আইনত ন্যায্য নয়।
এই রায় বিদেশি কর ক্রেডিট দাবি নিয়ে দীর্ঘ বিরোধে জওয়ান অভিনেতার জন্য বড় একটি জয়।
মামলাটি ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া শাহরুখ খানের রা ওয়ান সিনেমা থেকে আয়ের ওপর কর আরোপের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
প্রতিবেদন অনুসারে, বলিউড কিং শাহরুখ খান ও তার সহ-প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্টের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল যে সিনেমার ৭০ শতাংশ শুটিং যুক্তরাজ্যে হবে।
ফলে সিনেমার ৭০ শতাংশের বেশি আয় বিদেশি আয় হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল এবং হোল্ডিং ট্যাক্সসহ যুক্তরাজ্যের কর আরোপের আওতায় পড়ে। এই অর্থ যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা উইনফোর্ড প্রোডাকশনের মাধ্যমে পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে, কর কর্তৃপক্ষ যুক্তি দিয়েছিল, এই অর্থ প্রদানের কাঠামো ভারতের জন্য রাজস্ব ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে সন্দীপ সিং করহাইল ও গিরিশ আগরওয়ালের সমন্বয়ে গঠিত আইটিএটি বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে, পুনর্মূল্যায়নের প্রক্রিয়া অবৈধ। তারা উল্লেখ করেছে, মূল্যায়ন কর্মকর্তা চার বছর সময় নিয়ে পুনর্মূল্যায়নের ন্যায্যতা প্রমাণ করতে কোনো 'বাস্তব প্রমাণ' উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এছাড়াও, বেঞ্চ উল্লেখ করেছে—প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের সময় বিষয়টি ইতোমধ্যেই পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, পুনর্মূল্যায়নের প্রক্রিয়াটি একাধিক কারণে আইনত ত্রুটিপূর্ণ ছিল।
Comments