ছেলে আমার জন্য যা করেছে সবই একজীবনের সেরা উপহার: ববিতা
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি অভিনেত্রী ববিতা বর্তমানে কানাডায় আছেন। তার একমাত্র ছেলে অনীক সেখানে স্থায়ী হয়েছেন বেশ কয়েকছর ধরে। ছেলের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটছে স্বর্ণালী দিনের সিনেমার এই নায়িকার।
কানাডায় কাটানো সুন্দর সময়গুলো নিয়ে ববিতা কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের কাছে।
ববিতা বলেন, 'এখানে এসেছি বেশ কিছু দিন হলো। ছেলে আমার জন্য যা যা করেছে সবই একজীবনের সেরা উপহার। এক জীবনের বড় প্রাপ্তি। ঢাকায় একা একা থাকলে তো ছেলের এই ভালোবাসা পেতাম না। তাই চলে এসেছি অনীকের কাছে।'
'জীবন ভীষণ সুন্দর। কিন্ত তা হতে হবে কর্মময়। কর্মময় হলেই জীবন আরও সুন্দর হয়ে উঠে,' বলেন তিনি।
গত ৩০ জুলাই ছিল বাংলাদেশের নন্দিত এ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্মদিন। সেদিন পুত্র অনীক তাকে নিয়ে কানাডার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন।
ববিতা এ বিষয়ে বলেন, 'অনীকের বাসা হচ্ছে কিচেনার শহরে। এখান থেকে নিজে নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে নিয়ে গেছে টরন্টোতে। তারপর সারাদিন মা ছেলে ঘুরেছি, নানাকিছু দেখেছি এবং আনন্দ করেছি। সুখের স্মৃতি জমা হয়ে আছে আমার জীবনে।'
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ববিতা বলেন, 'অনীক আমাকে জমিদার বাড়ির মতো বিশাল একটি বাড়ি দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল। বাড়িটি অনেক পুরোনো। দেখতেও অনেক সুন্দর। ওখানে গিয়ে অনেক ছবি তুলেছি, মজা করেছি।'
'জন্মদিনে আমাকে প্রথম শুভেচ্ছা জানিয়েছে অনীক। আমার জন্য স্পেশাল কেক অর্ডার করে এনেছে। খুব দামি একটা কেক। আমি তো রীতিমতো মুগ্ধ,' বলেন তিনি।
বিশেষ দিনটি নিয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমি ফুল পছন্দ করি। বাসায় অনেক ফুল ছিল। সবকিছু আমার ছেলে করেছে। এছাড়া আমাকে না জানিয়ে দামি কেক অর্ডার করেছে। সত্যি কথা বলতে আমাকে সারপ্রাইজ দিয়েছে। একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে ব্যালে ডান্স দেখিয়েছে। কী যে ভালো লেগেছে!'
এক প্রশ্নের জবাবে ববিতা বলেন, 'গাড়ি ড্রাইভ করে অনেক দূরে আমাকে নিয়ে দুপুরের লাঞ্চ করেছে। এরপর রাতে আমাকে নিয়ে ডিনার করেছে। আমার জীবনে সবই বিরাট আনন্দময় ঘটনা।'
ছেলের কাছ থেকে বিশেষ দিনে কী কী উপহার পেয়েছেন জানতে চাইলে ববিতা বলেন, 'সন্তানের ভালোবাসা আমার জন্য বড় উপহার। বিশেষ দিনে আমার জন্য এতকিছু করেছে তা কজনের ভাগ্যে ঘটে? আমি মনে করি সবই উপহার।'
হাসতে হাসতে তিনি আরও যোগ করেন, 'পারফিউম উপহার দিয়েছে, মেকআপের জিনিস উপহার দিয়েছে। আরও অনেককিছু দিয়েছে যা যা আমি পছন্দ করি।'
Comments