হুইল চেয়ারে করে ভক্ত দেখা করতে এসেছিল দূর থেকে: মেহজাবীন

মেহজাবীন
মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

মেহজাবীন এই সময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের মধ্যে তার অবস্থান শীর্ষে। নাটক ও ওটিটিতে সরব তিনি। চলতি বছর অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে চারটি পুরস্কার পেয়েছেন। তার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত। যেখানেই যান, ভক্তরা ঘিরে ধরে, ছবি তোলে।

ভক্তদের নিয়ে কিছু ঘটনার কথা তিনি শেয়ার করেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

মেহজাবীন বলেন, 'প্রথমেই বলতে চাই ভক্তদের ভালোবাসাকে আমি সম্মান করি। ভক্তরা একজন শিল্পী হিসেবে আমাকে ভালোবাসে, এটা বড় পাওয়া। নানা সময়ে ভক্তদের কাছ থেকে ভালোবাসা ও সম্মান পেয়ে আসছি। এটা ভীষণ ভালো লাগে। তাদের জন্য অভিনয় করি।

মেহজাবীন
ছবি: সংগৃহীত

আবার অতিরিক্ত ভালোবাসা দেখানোটাও অন্যরকম লাগে। একবার একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন ছিল আমার জন্মদিন। কয়েকজন ভক্ত বাসার কাছে গিয়ে আতশবাজি ফোটানো শুরু করেছিল। কোনোভাবেই তাদের আতশবাজি ফোটানো বন্ধ হয় না। শেষে পুলিশ ডেকে সমস্যার সমাধান করতে হয়েছিল। ভক্তরা একজন তারকাকে ভালোবাসুক, কিন্ত তা যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়।

একজন ভক্তের কথা কখনোই ভুলতে পারব না। সারাজীবন মনে থাকবে। প্রতিবছর আমার ভক্তরা একবার একসঙ্গে হন। এর আয়োজন ভক্তরাই করেন। সেইবার আমি উপস্থিত  ছিলাম। সবার সঙ্গে কথা বলছি। হঠাৎ একজন ভক্তকে দেখি হুইল চেয়ারে। তার মা-বাবা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। তারপর কথা বললাম। জানতে পারলাম আমাকে দেখার জন্য হুইল চেয়ারে করে অনেক দূর থেকে এসেছে। খুব ইমোশনাল হয়ে পড়ি।

আমি তাকে সময় দিই। একটাই ভাবনা ছিল, আমার অভিনয়কে পছন্দ করে বলেই সে এসেছে। ভক্ত সেদিন কেঁদেছিল আমাকে পেয়ে। তার এমন ভালোবাসা সত্যি মুগ্ধ করার মতো।

একটা সময় ছিল ভক্তরা হাত কেটে রক্ত বের করে দেখাত। কিংবা রক্ত বের করে তারকাদের নামও লিখত। এসব আমি মেনে নিতে পারি না। খারাপ লাগে। ভালোবাসা অন্যভাবেও হতে পারে। কাউকে ভালোবাসলে কিংবা সম্মান জানাতে হাত কেটে ফেলার কিছু নেই। আমার বেলায় হয়েছিল। দুই-একজন ভক্ত এটা করেছিল। তারপর আমি বুঝিয়ে বলেছি। বুঝিয়ে বলার পর কেউ এটা করেনি।

আরেকবার ভক্তরা মিলে আমার জন্মদিনে অসহায় ও গরিব মানুষদের খাবার দিয়েছিল। সমস্ত টাকা-পয়সা ভক্তরাই দিয়েছিল। আমি অবাক হয়েছি। একজন পছন্দের অভিনয়শিল্পী কিংবা তারকার জন্য ভক্তরা এত কিছু করতে পারে? আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের ভালোবাসার কাছে আমি ঋণী।

মেহজাবীন
ছবি: সংগৃহীত

আমার ভক্তদের নিয়ে বছরে একবার বসি, এই চেষ্টাটা আমি করি। তারা আমার জন্য এতকিছু করে, আমাকে এত পছন্দ করে, এত ভালোবাসে, সেজন্য আমিও সম্মান দেখাই। একটি দিন গল্প করি, তাদের কথা শুনি, সুন্দর করে দিনটি কাটে।

গত বছর সিলেটে ব্যাপক বন্যা হয়েছিল। আমার ভক্তরা নিজেদের টাকা দিয়ে সেখানে ত্রাণ দিয়েছে। ওদের বয়স কিন্ত খুব বেশি না। সবাই ছাত্র। আমি মনে করি ওরা মন থেকে ভালোবেসে এটা করে। ওদের ভালোবাসায় কোনো স্বার্থ নেই । তাদের ভালোবাসা বার বার মুগ্ধ করে আমাকে।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

3h ago