বিটিভিতে ধ্বংসযজ্ঞের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চান শিল্পীরা

বিটিভি প্রাঙ্গণে শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রাঙ্গণে আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাজির হয়েছিলেন সংস্কৃতি অঙ্গনের একঝাঁক শিল্পী। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগান সম্বিলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড। 'বিটিভিতে এ ধ্বংসযজ্ঞ কেন, এর পেছনে কারা?' এ প্রশ্ন তুলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান তারা। পাশাপাশি  আন্দোলনে নিহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

'সকল সহিংসতার বিরুদ্ধে আমরা' স্লোগান নিয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও চলচ্চিত্র নায়ক ফেরদৌস, সুজাতা, রিয়াজ, অরুণা বিশ্বাস, নিপূণ, শমী কায়সার, আজিজুল হাকিম, রোকেয়া প্রাচী, সুইটি, হৃদি হক, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাজু খাদেম,সোহানা সাবা, চন্দন রেজা, সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, এস এ হক অলিক, খোরশেদ আলম খসরুসহ নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের তারকারা।

ফেরদৌস আহমেদ বলেন, 'আমি দেখেছি, ছাত্ররা যে কোটার আন্দোলনে নেমেছিল। সেই কোটার পক্ষে আমরা সকলেই ছিলাম। কিন্তু আন্দোলনে এই ছাত্রদেরকে ঢাল করে একদল মানুষরূপী পশু জালিয়ে-পুড়িয়ে ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ছারখার করে দিয়েছে আমাদের এ দেশটিকে। '

শমী কায়সার বলেন, 'সকল সংস্কৃতি কর্মীরা আমরা দাঁড়িয়েছি আজ শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিনে। আগস্ট মাস আমাদের একটি প্রতিবাদের মাস। যে মাসে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার ইতিহাসকে হত্যা করা হয়েছে। টেলিভিশনে এসে এই ধ্বংসযজ্ঞ দেখে মর্মাহত হয়েছি।'

রোকেয়া প্রাচী বলেন, 'বাংলাদেশের উন্নয়তকে ব্যহত করার জন্য একটি রাজনৈতিক দল সব সময় থাকে। এই গণতান্ত্রিক দেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা সকলকে তার অধিকারের কথা বলতে, দাবির কথা বলতে সুযোগ দিয়েছেন। এই ছাত্রদের আন্দোলনকে ঘিরে জঙ্গি হিসেবে, দুঃস্কৃতিকারী হিসেবে যারা সহিংসতার রাজনীতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চাই।'

শুভ্র দেব বলেন, 'এই বিটিভি ছিল বাংলাদেশের প্রখ্যাত সব শিল্পীদের পদচারণামুখর একটি পবিত্র জায়গা। আমি বিশ্বাস করি, কোনো বাংলাদেশি এই বিটিভিতে আক্রমণ করতে পারে না, আক্রমণ করতে পারে কোনো টিক্কা খানের বংশধর। সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচার হবে এটাই আমার কাম্য।'

এ ছাড়াও সহিংসতার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, হৃদি হক, সোহানা সাবা, সাজু খাদেম, অরুণা বিশ্বাস, নিপুণ।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago