জন্মদিনে যেসব খাবার পছন্দ করতেন নায়ক রাজ রাজ্জাক

পরিবারের সঙ্গে নায়ক রাজ রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

নায়ক রাজ রাজ্জাক কয়েক দশক রাজত্ব করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে। পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও সফলতা পেয়েছেন জীবদ্দশায়। 

আজ সোমবার ছিল নায়ক রাজ রাজ্জাকের ৮১তম জন্মদিন। জন্মদিনে বাবার পছন্দের খাবার  নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন তার ছোট ছেলে নায়ক সম্রাট।

ছেলে সম্রাটের সঙ্গে নায়ক রাজ রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, 'বাবা ছিলেন ষোলআনা বাঙালি। বাঙালি খাবার সবসময় পছন্দ করতেন। ছোট মাছ প্রিয় ছিল। বেছে বেছে ছোট মাছ কেনা হতো। ঝোল করে টেংরা মাছের তরকারি ছিল ভীষণ প্রিয়। জন্মদিনের বিশেষ দিনে মা টেংরা মাছ ঝোল করে রান্না করতেন। সাদা ভাতের সঙ্গে টেংরা মাছের তরকারি দিয়ে বাবা তৃপ্তি করে খেতেন।'

'সবজি খিচুড়ি ছিল বাবার অসম্ভব পছন্দের। খুব তৃপ্তি পেতেন। পোলাও খেতেন না। সবসময় সাদা ভাত খেতেন। বাবার এই অভ্যাস আমার এক সন্তান পেয়েছে। এখন বাবা নেই, কিন্তু তার অভ্যাসটি আমার সন্তান ধরে রেখেছে,' বলেন সম্রাট।

'জন্মদিনে বাবা আমাদের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে খেতেন। কখনো বাইরে যেতেন আমাদের নিয়ে। সবাই আনন্দ করে খেতাম বাবার সঙ্গে। এখন সেসব দিনের কথা খুব মনে পড়ে। ২৩ জানুয়ারি এলে বারবার ফিরে যাই সেসসব দিনগুলোতে।'

পরিবারের সঙ্গে নায়ক রাজ রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, 'সত্যি কথা বলতে বাবাকে সময় অসময়ে মিস করি। কারণ ছাড়াও মিস করি। বাবা তো! তার কথা মনে পড়বেই। এখনো মনে হয় বাবা আমার কাঁধে হাত রেখেছেন। দূর থেকে আশীর্বাদ করছেন।'

'বাবার আরেকটি প্রিয় খাবারের কথা আজ বলি। আমের প্রতি ছিল বাবার অসম্ভব দুর্বলতা। মিষ্টি আম নিয়ে আসতেন বাজার ঘুরে। রমজানে সেহরি খাওয়ার সময় আম ছাড়া হতোই না। নানারকম আম নিয়ে এসে সবার সঙ্গে খেতেন,' বলেন তিনি।

সম্রাট বলেন, 'বাবার জন্মদিনে মিষ্টি জাতীয় খাবার রান্না হতো। বাবা খেতেন না। আমরা খেতাম। জন্মদিনে অনেক কাছের মানুষরা আসতেন বাসায়। বাবা খুশি হতেন। সবার ভালোবাসা পেলে বাবার মন সত্যি সুন্দর থাকত।'

Comments

The Daily Star  | English

An Eid evening at Pongu Hospital: overflowing emergency, lingering waits

The hospital, formally known as NITOR, is a 1,000-bed tertiary medical facility that receives referral patients from all over the country

46m ago